কোন অবস্থাতেই থামছে না ফতুল্লায় জুয়া নিয়ে আটক ইউনাইটেড ক্লাবের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন তাপুর বিতর্ক । এবার সাথে যুক্ত হয়েছে তেলচোরা দেলুসহ সাঙ্গপাঙ্গরা……..
নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
বেলা ১১ টা শহরের গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে ব্যাপক প্রচার হয়েছে, এবার ইউনাইটেড ক্লাবের সেই জুয়া খেলায় গ্রেফতারকৃত তাপু ও তার সহয়োগি দেলু পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে যাচ্ছেন । আবারো তুমুল সমালোচনার খববের সত্যতা পাওয়া গেলো ১২ -১১ মিনিটের সময় । ঢাকা মেট্রো ঘ -১৫-৬১২৫ নম্বরের প্রাডো গাড়ীতে করে বীরের বেশে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের অফিসে প্রবেশ করলেন তাপু দেলুসহ কয়েকজন।
পুলিশ সুপার সহ কোন পুলিশ কর্মকর্তারা কার্যালয়ে না থাকলেও দ্বিতীয় তলায় অবস্থান নেন বিতর্কিতরা । দুপুরের পর পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ নিজ কার্যালয়ে প্রবেশের সময় বিতর্কিত কর্মকান্ডের জন্য ক্ষমা চাইতে এসেছেন বলে জানিয়েছেন কয়েকজন পুলিশ সদস্য। ক্ষমা চাওয়ার পর কোন সময় না দিয়ে পুলিশ সুপার নিজ কাজে বাইরে রেড়িয়ে গেলে বিতর্কিত তাপু – দেলু দলবল নিয়ে বেড়িয়ে এসেই থমকে দাড়ায় সংবাদকর্মীদের সক্রিয় ক্যামেরা দেখে । চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধান ও তোফাজ্জল হোসেন তাপু বলতে থাকেন সাংবাদিকরা তো ভিডিও করতেছে । এখান থেকে চলে যাওয়াই শ্রেয় ।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ, বৃহস্পতিবার ৩ অক্টোবর মধ্যরাতে ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে সভাপতি তাপুসহ কামাল হোসেন ওরফে গলাকাটা কামাল শামসুজ্জামান, মোস্তাফিজুর রহমান, ইকবাল হোসেন, এবিএম শফিকুল ইসলাম ও আফজাল হোসেনকে জুয়া খেলার অপরাধে গ্রেফতার করে । এ ঘটনায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হয় । জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদকে ফতুল্লাবাসী সাধুবাদ জানায় ।
জুয়া আইনে আদালত থেকে মুচলেকা ও জরিমানা দিয়ে মুক্তি পাবার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই পুলিশ সুপার ও জেলা পুলিশের লোকজনদের ধোকা দিয়ে একজন বিশেষ পেশার দালাল জেলা পুলিশ সুপারকে বিতর্কিত করতে ধর্মীয় অনুভূতিকে পূজি করে জুয়ারু তাপুকে নিয়ে তৈরী করে নতুন ছক । এমন ছকের অংশ হিসেবে ৫ অক্টোবর শনিবার রাতে পঞ্চবটি হরিহর পাড়া এলাকার শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দিরের শারদীয় দূর্গা পূজা উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসপি হারুন অর রশীদের সাথে একমঞ্চে ছিলেন ঐ জুয়া আইনে গ্রেফতার হওয়া সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন তাপু । এক ষ্টেজে পুলিশ সুপার ও জুয়ারু তাপুর অবস্থানকে কোন অবস্থাতেই মেনে নিতে পারে নাই এলাকাবাসী । শুরু হয় তোলপাড়ের সৃষ্টি হয় জেলা জুড়ে ।
এমন ঘটনার দুইদিনের মধ্যে আবার পুলিশ সুপারকে বিতর্কিত করতে নানাভাবে বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধান (যার বিরুদ্ধে ক্রসফায়ারে নিহত বিএনপি নেতা ডেবিডের সহয়োগি হিসেবে সুসম্পর্ক রেখে নানা অপরাধ করার অভিযোগ রয়েছে ) কে সাথে নিয়ে তোফাজ্জল হোসেন তাপু এবং তার সাথে দলবল নিয়ে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে উপস্থিত হয় । যা নিয়ে শহরব্যাপী শুরু হয়েছে নানা আলোচনা সমালোচনা ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলা আওয়ামীলীগের এক নেতা ও জনপ্রতিনিধি পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে (৮ অক্টোবর দুপুর ৩ টা ২৭ মিনিটে) বেড়িয়ে আসার দৃশ্য দেখে তাৎক্ষনিকভাবে কঠোর সমালোচনা করে বলেন, এই দেলু তো ৩ তারিখে ইউনাইটেড ক্লাবের জুয়ার আখড়া থেকে পালিয়ে গেছে শুনেছিলাম। এখন আবার তাপুকে নিয়ে পুলিশ সুপারের অফিসে আসে কি করে ?
তিনি প্রতিবেদককে আরো বলেন, এদের তো কোন লাজ লজ্জা নাই । এখন কানকাটা রমজানের মতো অবস্থা । নিজেদের যেমন মান সম্মান নাই, তাই সম্মানিত ব্যক্তিদের সম্মান নষ্ট করতেই তাপু – দেলু চক্রের নতুন খেলা হতে পারে এই ঘটনা । এই দেলুকে তো সকলেই তেলচোরা দেলু হিসেবেই চিনে এবং পুলিশ নিয়োগ বাণিজ্যের মামলার অভিযোগসহ নানা অপরাধের সাথে জড়িত থাকে । শাসক দলের নেতাদের শেল্টারে থাকায় তার অপরাধের বিষয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস করে না । ক্রসফায়ারে ডেবিড মারা যাবার আগে ডেবিডের শেল্টারে এই দেলু একই পন্থায় অপরাধ করতো। যা এখনো চলমান রয়েছে । আরো অনেক কঠোর ভাষায় মন্তব্যও করেন এই নেতা ।
(এমন মন্তব্যের রেকর্ড সংরক্ষিত রয়েছে)
Discussion about this post