নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
জেলার সদর উপজেলার মাসদাইর গুদারাঘাট এলাকায় প্রতিপক্ষের হামলায় আব্দুর রহিম নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম হোসেন ।
শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে গুদারাঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আব্দুর রহিমের বাবা ঈমান আলী জানান, দুই ভাই এক বোনের মধ্যে রহিম সবার বড়। এলাকায় ইলেকট্রিক কাজ করে সে জীবীকা নির্বাহ করতো। রাত পৌনে ৯টার দিকে মাসদাইর এলাকার একটি চায়ের দোকানে তিনি বসে ছিলেন।
এলাকাবাসী জানান, নিহত আব্দুর রহিম পেশায় বিদ্যুৎমিস্ত্রি হলেও মাদকাসক্ত ছিলেন। নষ্ট ফারুক নামে পরিচিত ফোন ফ্যাক্সের দোকান মালিকের শ্যালক আসিফও মাদকাসক্ত। মাদকের দেনা পাওনা নিয়ে আসিফ তার দুলা ভাই নষ্ট ফারুকের দোকানে আব্দুর রহিমকে পেয়ে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে আব্দুর রহিমের গলায় ছুরিকাঘাত করেন আসিফ।
এ সময় দোকানের ভেতর রহিম লুটিয়ে পড়লে তাকে ধাক্কা দিয়ে বাইরে ফেলে দেন আসিফ। এরপর ঈমান আলী খবর পেয়ে আশপাশের লোকজন নিয়ে তার ছেলে রহিমকে উদ্ধার করে শহরের খানপুর হাসপাতালে নিয়ে যান।
সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রহিমকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ফারুক ও তার শ্যালক আসিফের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে নিহত রহিমের বাবা ঈমান আলী বলেন, গুদারাঘাট এলাকায় ফারুকের ফোন ফ্যাক্সের দোকানের সামনে রহিমকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে লোকজন আমাকে খবর দেয়। এরপর এসে স্থানীয় লোকজনদের সহযোগিতায় রহিমকে উদ্ধার করে খানপুর হাসপাতাল নিয়ে আসি। কে বা কারা রহিমকে হত্যা করেছে এ বিষয়ে এখনো কিছুই জানতে পারিনি।
ঘটনাস্থলে যাওয়া ফতুল্লা মডেল থানার এসআই খালেক বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহতের গলায় ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে
Discussion about this post