এনএনইউ রিপোর্ট :
নির্বাচনী জনসভায় মাদক ব্যবসায়ীদের কাইট্টা ছিল্লা লবন লাগাইয়া দেওয়ার ঘোষনা দিলেও শহরের কয়েকটি স্থানে জন প্রতিনিধিদের নামে বিশেষ পেশার ব্যানারে প্রকাশ্য জুয়া, চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় ব্যাপক সমালোচানর ঝড় উঠেছে শহর-বন্দর জুড়ে।
নির্বাচনী জনসভা মেষে প্রবাসী জাকির হোসন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মাদক ব্যবসা পুরো জতীর জন্য এখন বিষফোড়া। মাদকের বিরুদ্ধে অবস্থানের বিষয়ে আমি সেলিম ওসমানকে সাধুবাদ জানাই । কিন্তু সেলিম ওসমান জানেন কি নারায়ণগঞ্জ শহরের কালিরবাজারে এবং বাস স্ট্যান্ডে বিশেষ পেশার একটি এসোসিয়েশনের ব্যানারে প্রতিদিন ও সারারাত লাখ লাখ টাকার জুয়া খেলা হচ্ছে ? কোন কোন সময় এই জুয়ারীরা খোদ সংসদ সদস্যদের নামও ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেন জাকির হোসেন।
এমন ক্ষোভের প্রেক্ষিতে তথ্যানুসন্ধানে আরো জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ শহর ও বন্দরের কয়েকটি স্থানে এবং বন্দর জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের নীচ তলায় রাজা মিয়া ও শাহজাহানসহ আরো কয়েকজন দীর্ঘদিন যাবৎ চালিয়ে যাচ্ছে রমরমা জুয়া। এই জুয়া থেকে লাখ লাখ টাকার চাঁদা প্রতিদিন ভাগবাট্য়োরা হচ্ছে বিশেষ পেশার কয়েকজনের মধ্যে ।
প্রবাসে ধাকতাবস্থায় জাকির হোসেন তার বোনের কাছে বিশাল টাকা পাঠালেও এই টাকা জুয়ায় শেষ করে তার ভাগিনা আলম (৩৫)। দেশে ফিরে এসে ভাগিনা আলমকে খোজ করতে জুয়ার আসর কালীর বাজারে আসলে উল্টো পুলিশ দিয়ে হয়রানী করে বিশেষ পেশার কেউ কেউ। এ ছাড়াও এই আস্তানায় অনেক নারী তাদের জুয়ারী স্বামীকে খোজ করতে আসার দৃশ্য অনেকেই দেখলেও বন্দ হয় নাই এই জুয়ার আসর ।
অসংখ্য ভিডিও থেকে আরো জানা যায়, রাজা মিয়া ও জুয়ার পরিচালনাকারী শাহজাহানসহ আরো কয়েকজন এই জুয়া থেকে রাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে বর্তমানে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন। কালীর বাজারের একটি এসোসিয়েশনের ব্যানারে জুয়া, বাসস্ট্যান্ডের জুয়া থেকে বিশেষ পেশার লোকজন কত টাকা নেয়, ওসি ও দারোগা এবং ডিবি পুলিশকে কত টাকা দেয়া হয় তার বিস্তারিত তথ্যও রয়েছে অনেকের কাছে।
এতো অভিযোগের তথ্য প্রমাণ থাকার পরও কি করে শহরে এমন জুয়া চলছে ? এমন প্রশ্ন প্রবাসী জাকিরসহ অনেক পরিবারের।
অনেকেই দাবী করে বলেন, সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান এমন ঘৃন্য কর্মকান্ড কঠোর হাস্তে বন্ধ করলে অনেক পরিবারে শান্তি ফিরে আসবে ।
Discussion about this post