কি হেচ্ছে সিদ্ধিরগঞ্জে ? তেল চুরির মহোৎসব ! ভূমিদস্যুতা ! গ্যাস চুরির মহোৎসব ! পুরো এলাকার আধিপত্য বিস্তার করতে এক পক্ষ অপর পক্ষকে ঘায়েল করতে আইনশৃংখলা বাহিনীকে ম্যানেজ করে নানা অপকর্মে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা চালিয় যাচ্ছে ! ফুটপাত দখল আর বিশাল বাণিজ্য । সরকারী সম্পত্তি দখল করার প্রতিযোগিতা । এমন কোন অপরাধ নাই যা প্রতিনিয়তঃ হচ্ছে না সিদ্ধিরগঞ্জে ।
প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা ছাড়াও শাসক দলের নেতোদের ম্যানেজ করতেও চালিয়ে যাচ্ছে তেলমর্দন ! এমন অসংখ্য ঘটনার ফসল হিসেবে ২০১৪ সালে প্রতিপক্ষকে ঘায়েলের অংশ হিসেবে সাত জনের লাশ দেখে হতবাক হয়ে উঠে পুরো দেশ বাসী । এরপরও থামে নাই অপরাধ । চলছে অবিরামভাবে । কে দেখে এমন অপরাধ !
নূর হোসেন সাত খুনের ফাঁসির দন্ড মাথায় নিয়ে কেন্দ্রীয় কারাগারের কনডেম সেলে একাকিত্ব কঠিন জীবন পালন করলেও থেমে নাই তার রেখে যাওয়া অপরাধ সাম্রাজ্য । ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিলে আগমূহুর্ত পর্যন্ত নাারযণগঞ্জ মহনগরীর শিমরাইল মোড়ে দন্ডমূর্তের কর্তা নানা অপকর্মের হোতা নূর হোসেন ওতার সহযোগিরা কাউন্টার স্থাপন করে মাদক ব্যবসা, যাত্রার নামে নগ্ন নৃত্য, চাঁদাবাজি, পরিবহণ সন্ত্রাসী, প্রকাশ্যে ১০/১৫টি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে মহড়া চালিয়ে তান্ডব সৃস্টি করতো ।
তৎকালীন সময়ের জেলা প্রশাসক মনোজ কান্ডি বড়াল ছাড়াও র্যাব ও পুলিশের শীর্ঘ কর্মকর্তাদের অনেকেই সেই কুখ্যাত নূর হোসেনের মধুকুঞ্জের নিয়মিত ভোক্তা হওয়ায় এলাকার কোন সাধারণ মানুষ মুখ খুলতে সাহস করতো না । সেই সাম্রাজ্য এক নিমিষেই সাত খুনের মধ্য দিয়ে ধ্বংস হয়ে গেলেও এবার নতুন করে আবার শুরু হয়েছে নগ্ন নৃত্যের আসর । একই সাথে চলছে জুয়া, মাদকের রমরমা কারবার । থেমে নেই চাঁদাবাজির মতো অপকর্ম । ফুটপাতের বিশাল চাঁদাবাজির ঘটনাও সমানতালে চলছে প্রকাশ্যেই । এমন অপরাধ সাম্রাজ্য দেখ সিদ্ধিরগঞ্জের অনেকেই বলেছেন, “তবে কি আবার ফিরে আসতে শুরু করেছে নূর হোসেনের সেই পুরানোর অপরাধী চক্র ।”
জাতীয় জরুরি সেবার হটলাইন নম্বর ৯৯৯ এ ফোন করে এমন অপকর্মের বিষয়ে অসংখ্যবার এলাকাবাসী অভিযোগ জানানো হলেও এ বিষয়ে স্থানীয় পুলিশ হানা দিয়ে বন্ধ করে ফিরে আসার পর আবার শুরু হয় এমন নগ্ন নৃত্য । চলে সারারাত । এমন কান্ডের বিষয়ে খোজ নিতে সোমবার দিবাগত মধ্যরাতে নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট এর পক্ষ থেকে সরেজমিন অনুসন্ধানে উপস্থিত হলে বেড়িয়ে আসে এমন নৃত্য ও অর্থনৈতিক লেনদেনের চিত্র ।
খোজ নেয় জানা যায়, সাত খুনের মুল হোতা ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামী নূর হোসেনের চেলা মুরগী রিপন, জামালসহ আরো কয়েকজন অপরাধী নূর হোসেনের ভাই নূর উদ্দিন, ভাতিজা শাহজালাল বাদল, লোকমানের শেল্টারে আবার নতুন করে এমন কর্মকান্ড শুরু করেছে । প্রতিদিন এই চক্রের হোতারা এমন নগ্ন নৃত্য, মাদকের কারবার, ফুটপাতের চাঁদাবাজি থেকে ৪০ হাজার টাকা পুলিশ ও বিশেষ পেশার কয়েককনের মধ্যে বাটোয়ারা করে থাকে । এমন অপকর্ম থেকে ৭০/৮০ হাজার টাকার মধ্যে ৪০ হাজার পুলিশ ও বিশেষ পেশার লোকজনের মধ্যে বন্টন করলেও বাকী অর্থ নিজেদের খরচা হিসেবে দেখানো হয় ।
প্রতিদিন এমন অপকর্মে এলাকার সকলেই অতিষ্ট হয়ে উঠলেও আইনপ্রয়োগকারী কোন সংস্থা দিয়েই থামানো যাচ্ছে না নূর হোসেনের রেখে যাওয়া সেই অপরাধ সাম্রাজ্য ।
আইনশৃংখলা বাহিনী ম্যানেজের পাশাপাশি গণমাধ্যমের অস্বচ্ছ আচরণ প্রমাণ করে কতটা ম্যানেজ অপরাধীদের কাছে । গণমাধ্যমকর্মীদের কেউ কেউ নাকি এমন অপরাধীদের সাথে কোন না কোন পন্থায় লিয়াজোঁ করে চালিয়ে যাচ্ছে অপরাধ । এমন চোর পুলিশ খেলায় এবার অনেক সাধারণ মানুষকে নানাবাবে হয়রানী করে যাচ্ছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় নব নিযুক্ত কয়েকজন কর্মকর্তা ।
কুখ্যাত সেই নূর হোসেনের রেখে যাওয়া এমন অপরাধ সাম্রাজ্যের বিষয়ে নব নিযুক্ত সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মশিউর রহমান নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট কে বলেন, আমি এসেই দুই দফা অভিযান চালিয়ে তাদের মামালাম জব্দ করে নিয়ে এসেছিছ । এরপরও এমন ঘটনা ঘটছে তা আমার জানা ছিলো না । আমি অচিরেই ব্যবস্থা নিচ্ছি বলে আশ্বাস দেন ।
Discussion about this post