এনএনইউ রিপোর্ট :
নারায়ণগঞ্জের নির্বাচনী মাঠে হচ্ছে টা কি ? কে হচ্ছেন পাঁচটি আসনের মূল প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী ? একের পর এক নাটকের নেপথ্যে কি তাহলে চলছে টাকার খেলা ? তাসের খেলার মতো নির্বাচনী মনোনয়ন যুদ্ধে কে হারবে আর কে জিতবে তা নিয়ে চলছে টান টান উত্তেজনা।
নারায়ণগঞ্জ জেলার পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ আসনে শেষ মূহুর্তে কে টিকে থাকছেন তা এখনো নিশ্চিত না হলেও প্রতি মূহুর্তেই নতুন চমক সৃস্টি হচ্ছে ভোটারদের মাঝে।
এরই মধ্যে জেলায় চাউর হয়েছে নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে মনোনয়ন পেয়েও বিএনপির নেতা শিল্পপতি শাহ আলম মনোনয়ন প্রত্যাহার করার পাশাপাশি দল থেকেও রাজনীতি করবে না বলে পদত্যাগ করেছেন। আর এই আসনে হেভিওয়েট প্রার্থী শামীম ওসমানের বিপরীতে ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে অন্য কোন ব্যাক্তিকে মনোনয়ন দিতে যাচ্ছে। এমন খবর চাউর হলে শহরব্যাপী অনেকের মাঝে সাড়া ফেলে। খবরটির সত্যতা যাচাই করতে চলে নানাভাবে যোগাযোগ।
নারায়ণগঞ্জ- ৫ (সদর বন্দর) আসনের ঐক্যফ্রন্ট থেকে এখনো পর্যন্ত কোন প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত না হলেও সাবেক দুই সংসদ সদস্য এসএম আকরাম ও এডঃ আবুল কালামের কথা সকলের মুখে উচ্চারিত হচ্ছে। আর মহাজোটের পক্ষে এরই মধ্যে নিশ্চিত হয়েছেন সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান ।
নারায়ণগঞ্জ- ৩ (সোনারগাঁ) মহাজোটের পক্ষ থেকে সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকার নাম ঘোষনা করলেও সাবেক সংসদ সদস্য কায়সার হাসনাত স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছে । এছাড়াও বিএনপি এই আসনে আজহারুল ইসলাম মান্নানকে চূড়ান্ত করায় ভোটের হিসাব উল্টে গেছে বর্তমান সংসদ সদস্যের বিপক্ষে।
নারায়ণগঞ্জ -১ (রূপগঞ্জ) গাজী গোলাম দস্তগীর মনোনয়ন টিকেট পেলেও তার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় প্রায় ২০ জন বিদ্রোহী প্রার্থী । খোদ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদ মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেন গাজী বিরোধী জোটের সাথে আঁতাত করে। এই আসনে গাজীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী লড়াই করতে জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরকে এরই মধ্যে মনোনয়ন দিলেও যে কোন মূহুর্তে আবার উল্টে যেতে পারে মনোনয়নের চিত্র।
আসলে কি হচ্ছে তা জানতে আগামীকাল রোববার বিকেল পর্যন্ত অপেক্ষা করছে সকল রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। আর এই সময়ে চলছে টান টান উত্তেজনা।
Discussion about this post