এনএনইউ রিপোর্ট :
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজ নিজ এলাকার প্রার্থীকে ভোট দিতে গত বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রামের বাড়িতে চলে গেছে লাখো মানুষ । ফলে নারায়ণগঞ্জ ফাঁকা হয়ে গেছে । বৃহস্পতিবার, রাতে শুক্রবার ও শনিবার দুপুর পর্যন্তজেলা শহর ও বিভিন্ন উপজেলায় সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে শুনশান নিবরতার চিত্র। গেলো রাত ১১ টায় এবং সকাল ১০ টা কোলাহলপূর্ণ শহরের চিত্র ছিলো একবারেই ভিন্ন। শুক্রবার রাত ১১টার মধ্যেই একেবারেই জনমানব শুন্য হয়ে পরে চির পরিচিত শহর।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র মাঝে কয়েক ঘন্টা বাকি । গত শুক্রবার সকাল ৮টায় নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা শেষ হওয়ার র গত দুদিনে নারায়ণগঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে কোথাও কোন প্রার্থীকে প্রাচার-প্রচারণায় দেখা যায়নি । তবে শহরের গুরুত্বর্পূণ স্থানগুলোতে সেনা বাহিনীসহ বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে টহল দিতে দেখা গেছে ।
নগরীর বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, শহর অনেকটায় ফাঁকা হয়ে গেছে । অনেক স্থানে চায়ের দোকান গুলোতে চার-পাঁচজন বসে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নানা আলোচনা করছে ।
এদিকে কর্মক্ষেত্রের কারণে নারায়ণগঞ্জ শহরে বিভিন্ন জেলা থেকে আসা মানুষেরা ছুটে যাচ্ছেন নিজ গন্তব্যে নিজের এলাকায়, নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার আশায় । যারা এখনও যেতে পারেনি তারা আজ কালের মধ্যে চলে যাবে । সেই কারণে বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চ র্টামিনাল, রেলষ্টেশনসহ বিভিন্ন র্টামিনাল গুলোতে যাত্রীর ভিড় জমতে দেখা গেছে ।
নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ ঘাটে চাঁদপুর গামী এক যাত্রীকে নির্বাচন সর্ম্পকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ এখন পর্যন্ত স্বাভাবিক দেখছি তাইতো কাজকর্ম রেখে যাচ্ছি চাঁদপুরে। নিজের এলাকায় নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিব বলে ।
বেসরকারী প্রতিস্টানে কর্মরত ইব্রাহিম (৪০) মুটোফোনে জানায়, ভোটের আগে তিন দিন ছুটি পেয়েছি তাই গ্রামের বাড়িতে এসেছি ভোট দিতে। ঈদের মতোই ভোটের দিনে গ্রামের সকলেই এলাকায় থাকবে নানা বিষয়ে কুশলাদি বিনিময় ও আনন্দ হবে তাই এলাকায় আছি পরিবার পরিজন নিয়ে । এ যেন ঈদের আরেক আনন্দ ।
শিল্পাঞ্চলখ্যাত নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি নির্বাচনী এলাকায় লাখ লাখ লাখ লোক বিভিন্ন পেশায় কাজ করে যচ্ছে । কর্মজীবী লোকজনদের মধ্যে অধিকাংশ মুন্সিগঞ্জ, কুমিল্লা, বরিশাল, চাঁদপুর, রংপুরের বাসিন্দা । কোন উৎসব অথবা ভোটের কারণে গ্রামের বাড়ি চলে যাওয়ায় নারায়ণগঞ্জ জেলা বরাবরের মতো ফাঁকা হয়ে পরেছে ।
Discussion about this post