স্টাফ রিপোর্টার :
নির্বাচন আমি করছি ই । কোন ছাড় দিতে রাজি নই । আমার এলাকার আমার প্রাণপ্রিয় ভোটারদের রক্ষায় আামকে কৌশল হিসেবে শুক্রবার রাতে ভোট বর্জনের ঘোষনা দিতে হয়েছে । আমার বাড়িতে এসে গুলি, ভাংচুর, নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ঠেকাতে আমাকে এমন কথা বলতে হয়েছে । আমি নির্বাচনে আছি/ শেষ মূহুর্ত পর্যন্ত থাকবো । সোনারগাঁয়ের চর কিশোরগঞ্জ থেকে শুরু করে পুরো এলাকায় খোজ নিয়ে দেখেন আামর জন্য এলাকাবাসী কতটা উদগ্রীব হয়ে আছে । আমি এলাকাবাসীর ভালোবাসায় টিকে আছি আগামীতেও একাবাসীকে নিয়েই টিকে থাকবো ।
এভাবেই নানা শনিবার সকালে প্রশ্নের উত্তর দেন নারায়ণগঞ্জ ৩ আসনের সিংহ প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল কায়সার ।
জানা যায়, আইনশৃংখলাবাহিনীর অভিযান, অবরুদ্ধ করে রাখা, নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার, গুলি ও চাপে পড়ে নির্বাচনের মাঠ থেকে সরে দাঁড়াতে ঘোষনা দিয়েছিলোন নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের প্রার্থী কায়সার হাসনাত। আওয়ামীলীগের সাবেক এই এমপি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সিংহ মার্কা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। শেষ পর্যন্ত শুক্রবার রাতে মহাজোট প্রার্থীকে মাঠ ছেড়ে দেন বলে ব্যাপক চাউর হয় সোনারগাঁ ছাড়াও জেলা জুড়ে।
শুক্রবার সকাল থেকেই এলাকায় গুঞ্জন শুরু হয় কায়সার হাসনাত নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন। এই খবরে দুপুরের পর থেকে কায়সারের অনুগামী নেতাকর্মীরা কায়সারের মোগড়াপাড়াস্থ বাড়িতে জমায়েত হতে থাকেন। বিকেলে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে কায়সার গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন না। একটি পক্ষ তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এক পর্যায়ে সন্ধ্যায় কায়সার তার ওই বাড়িতে অনুগামী নেতাকর্মী সমর্থকদের নিয়ে নির্বাচনের কৌশল বিষয়ে মত বিনিময় করছিলেন। সন্ধ্যা পৌনে ৭ টার দিকে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির সমন্বয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তার বাড়ি ঘেরাও করলে নেতাকর্মীরা বাধাঁ দেয়ার চেষ্টা করে। এসময় পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড শর্টগানের রাউন্ড গুলি ছুড়ে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। এবং ঘটনাস্থল থেকে ১৫ জনকে আটক করে পুলিশ। এসময় গুলির শব্দে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে আইনশৃংখলাবাহিনী বাড়ির ভেতর কায়সার হাসনাতকে অবরুদ্ধ করে রাখে। কায়সার নির্বাচন থেকে সরে দাড়াইলেই আইনশৃংখলা বাহিনী তার বাড়ি ছাড়বে এমন ম্যাসেজ দেয়া হয় কায়সারকে। এক পর্যায়ে নিরুপায় হয়ে কয়েকটি শর্ত জুড়ে দিয়ে কায়সার নির্বাচন থেকে সরে দাড়ানোর ঘোষনা দেয়। পরে পুলিশ আটকৃকতদের ছেড়ে দেয়।
সোনারগাঁ থানার ওসি এম মোর্শেদ আলম গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থী কায়সারের বাড়িতে নাশকতার উদ্দেশ্যে গোপন বৈঠক চলছে এমন অভিযোগে সেখানে সমন্বিত অভিযান চলে।
পরে পুলিশ ও নির্বাচন কর্মকর্তাদের অনেকেই বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীদের ফোন করে অতিউৎসায়ী ভুমিকায় কায়সার হাসনাত নির্বাচন থেকে সরে দাড়িয়েছে বলে সংবাদ প্রকাশের অনুরোধ জানান । নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা অতি উৎসাহী সরকারী কর্মকর্তাদের এমন তথ্যের ভিত্তিতে কায়সার হাসনাতের মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগের চেস্টা করেও তার ফোন বন্ধ থাকায় এবং খুদেবার্তা পাঠিয়েও কোন বক্তব্য পাওয়া যায় নাই শুক্রবার রাতে।
Discussion about this post