এনএনইউ রিপোর্ট :
শাসক দল আওয়ামীলীগ, বিএনপিসহ ঐক্যফ্রন্ট, জাতীয পার্টিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে মনোনয়ন ফরম বিতরণ করা প্রায় শেষ পর্যায়ে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে নারায়ণগঞ্জের প্রায় শতাধিক প্রার্থী মনোনয়ণ পত্র ক্রয় করেছেন সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচন করার লক্ষ্যে।
সকল রাজনৈতিক দল থেকে নারায়ণগঞ্জে প্রায় শতাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী নির্বাচনে অংশ নিতে ইচ্ছে প্রকাশ করে ফরম সংগ্রহ করলেও সকল দলের সকল নেতারাই তাকিয়ে আছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মুখপানে । চাতক পাথি যেমন বৃস্টির আশায় আকাশ পানে চেয়ে থাকে ঠিক তেমনি কেন্দ্রীয় নেতাদের ইচ্ছের দিকেই চেয়ে আছে অধীর আগ্রহে।
দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর এতো নেতা মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করার ইচ্ছেও প্রকাশ করে নাই বিগত ১০টি নির্বাচনে। এবারই প্রথম নারায়ণগঞ্জে ৫ টি নির্বাচনী আসনের বিপরীতে শতাধিক প্রার্থী মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করায় নানাভাবে জেলা জুড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃস্টি হয়েছে।
কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক দলের নোতাদের অনেকেই এবং নারায়ণগঞ্জে উত্থাপিত নানা সমালোচনা থেকে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনে আওয়ামীলীগের প্রায় ৬৩ জন মনোনয়ন প্রত্যাশী মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। এতো মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করার অর্থই হচ্ছে নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে কোন শৃংখলা নাই, নিয়ন্ত্রণে নাই কোন নেতার। শিল্পনগরী নারায়ণগঞ্জ জেলায় রাজনীতিবিদদের পরিবর্তে বিভিন্ন পেশার লোকজন ক্ষমতা ও ব্যবসা নিজেদের করায়ত্ব করতেই মনোনয়ন যুদ্ধে নেমে পরেছেন আদাজল খেয়ে।
অপরদিকে বিএনপিসহ ঐক্যফ্রন্টের প্রায় ৩৫/৪০ জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার ৫টি নির্বাচনী আসনে টিকেট পেতে মনোনয়ণ ফরম সংগ্রহ করেছে। ফলে বিএনপির নেতাদের মাঝেও যে সাধারণতঃ ঐক্য নাই তার প্রমাণ করেছে এতো মনোনয়ণ ফরম সংগ্রহ করার মাধ্যমে। জেলা বিএনপির রাজনীতিতে অনেক নেতার কোন অস্তিত্ব না থাকলেও বারবার নারায়নগঞ্জের নেতা হতে প্রাণপণ লড়াই অব্যাহত রেখেছে কয়েকজন। মনোনয়ন নামক সোনার হরিণের খোজে মরিয়া হয়ে উঠেছে তারা।
জেলার জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকেও কয়েকটি মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করায় আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির মারাত্মক মত বিরোধ প্রকাশ্য রূপ ধারণ করেছে।
তবে এই সোনার হরিণের নাগাল কে পাচ্ছেন তার জন্য প্রায় সকল প্রার্থীই চেয়ে আছেন চাতক পাখির মতো।
Discussion about this post