স্টাফ রিপোর্টার :
শহরের আমলাপাড়া ও নিতাইগঞ্জের নলুয়া পাড়া থেকে সদর থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পৃথক দল নানাভাবে চেষ্টা চালিয়ে শহরের প্রভাবশালী মাদক বিক্রেতা মামুন উর রশিদ,সফিক ওরফে সাব্বির, তাজুল ইসলাম ওরফে বাবুর কাছ থেকে বিপুল পরিমান ফেনসিডিল এবং বুইট্টা সুজন, শাহীন ও আরিফকে বিপুল পরিমান ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয়েছে । গ্রেফতারকৃতরা নিজ নিজ এলাকায় এতটাই প্রভাবশালী যে তাদের এমন প্রকাশ্য মাদক বিরুদ্ধে এলাকার কেউ মুখ খুলতেও সাহস করে না ।
আটককৃতদের প্রায় সকলেই কখনো এলাকার আওয়ামীলীগ নেতা, জাতীয় পাটির নেতা পরিচয় দেয়ার পাশাপাশি নিজেদেরকে সাংবাদিক বলেও পরিচয় দিয়ে পাইকারী মাদকের ব্যবসা চালিয়ে আসছিলো দীর্ঘদিন যাবৎ । চিহ্নিত এই মাদক ব্যবসায়ীরা আমলাপাড়া ও নিতাইগঞ্জসহ আশেপাশের এলাকায় অপরাধীদের রাম রাজত্বে পরিণত করে আসছিলো । মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে যে কেউ প্রতিবাদ করলেই হামলাসহ নানাভাবে এলাকার শান্তিপ্রিয় সাধারণ মানুষকে হয়রাণী করার অভিযোগ দীর্ঘদিনের ।
জেলা ডিবি পুলিশের উপ পরিদর্শক আরিফুর রহমান বলেন, গ্রেফতারকৃত মামুন উর রশিদ (৪০), সফিক ওরফে সাব্বির (৩২) তাজুল ইসলাম ওরফে বাবু (৪০)সহ আরো কয়েকজন শীর্ষ মাদক বিক্রেতা আমলাপাড়াসহ আশেপাশের এলাকায় পাইকারী মাদক বিক্রে করে আসছিলো । তাদের ধরতে অনেক চেষ্টার পর গতকাল শনিবার রাতে ১১০ বোতল ফেনসিডিলসহ তাদের আটক করতে সক্ষম হই । এরা এতই ধূর্ত তাদের আটক করতে পুলিশকে অনেক ঘাম ঝড়াতে হয়েছে ।
অপরদিকে শহরের নিতাইগঞ্জ নলুয়া পাড়া এলাকা থেকে কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী সালাউদ্দিন বিটুর সেকেন্ডে ইন কমান্ড বুইট্টা সুজন, শাহীন ও আরিফকে ৬শ পিছ ইয়াবা টেবলেটসহ আটক করে সদর থানার সহকরী দারোগা এনায়েত। রোববার ২৪ ফেব্রুয়ারী দুপুরে ৬শ পিছ ইয়াবাসহ তিন মাদক বিক্রেতা আটক করার পর নারায়ণগঞ্জ সদর থানা ছুটে আসে শহরের একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তি। নানাভাবে চেষ্টা চালালও আটককৃতদের খবর গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পরলে সটকে পরে তদ্বিরবাজ সকলেই ।
নিতাইগঞ্জ নলুয়াপাড়ার অনেকেই বলেন, এরা কতটা ভয়ংকর অপরাধী তা জানতে বুইট্টা সুজন, শাহীন ও আরিফের বাসার পাশের লোকজনের কাছে জিজ্ঞেস করলেই জানা যাবে এরা কতটা কৃখ্যাত । তাদের ভয়ে কেউ টু শব্দটিও করতে সাহস করে না। নিজ ঘরে বসে এই মাদক ব্যবসায়ীরা মাদকের খুচরা ও পাইকারী ব্যবসা করলেও এলাকার কেউ মুখ খুলতে সাহস করে না । কারণ তাদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র সব সময়ই দেখা যায় । মাদকসহ এরা গ্রেফতার হলেও তাদের ছাড়াতে ও কারাগারে আরামে থাকার জন্য ইতিমধ্যেই তদ্বিরবাজরা আইনজীবী ও কারাগারে অসাধু কর্মচারী কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগও করে রেখেছে ।
Discussion about this post