স্টাফ রিপোর্টার:
নাসিক ১৬ নং ওয়ার্ডের ২ নং বাবুরাইল এলাকার চঞ্চল হোসেন (৩৮) নামে এক যুবক সন্ত্রাসী হামলায় আহত হয়ে দেড়মাস মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে মারা গেছে।
মাদক ব্যরসায় বাধা দেওয়ায় সন্ত্রাসীরা তাকে দেড়মাস আগে অমানুষিকভাবে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছিলো।
গত ১ মে দুপুরের দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) মারা যায় সে। এদিন রাত ১১টার দিকে নিহতে লাশ পাইকপাড়া বড় কবরস্থানে দাফন করা হয় । তবে মূল খুনি আবর রহস্যজনক কারণে এখনো রয়েছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
নিহত চঞ্চল হোসেন ২নং বাবুরাইল এলাকার আব্দুর রশিদ বেপারীর ছেলে। মাদক ব্যবসায় বাধা দেওয়া গত ১৪ মার্চ ২ নং বাবুরাইল এলাকার ধারা মিয়ার ছেলে মাদক ব্যবসায়ী আরব ও তার দুই ভাই ও তাদের সহযোগিরা ইট দিয়ে তার মাথা থেঁতলে দিয়েছিল।
ওই ঘটনায় চঞ্চলের ছোট ভাই মনির হোসেন বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় সন্ত্রাসী আরবকে প্রধান আসামী করে একটি মামলা করেন। মামলায় অন্যান্য আসামীরা হলেন আরবের দুই ভাই মিরাজ হোসেন,আনোয়ার হোসেনসহ অজ্ঞাত আরও ৮ থেকে ৯ জনকে আসামী করা হয়।
নিহতের ভাই মনির হোসেন চঞ্চলের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে জানান, ১৪ মার্চ দুপুরের দিকে সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী আরব তার ভাই মিরাজ ও আনোয়ার হোসেনসহ আর কয়েকজন মিলে আমার ভাইকে মারধর করে। তারা ভাইয়ের মাথা ইট দিয়ে থেঁতলে দেয়। এরপর তাকে প্রথমে খানপুর হাসপাতাল পরে ঢাকার মোহাম্মদপুরের একটি বেসরকারি হাপাতাল সেখান থেকে সাইনবোর্ড এলাকার প্রোঅ্যাক্টিভ মেডিক্যাল কলেজ পরে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল ঘুরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে ভর্তি করি। সেখানে আইসিইউতে চিকিৎসাধিন অবস্থায় ১ মে দুপুরের দিকে তিনি মারা যান।
তিনি আরও বলেন, আরব একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। এছাড়াও সে পুলিশের সোর্সের কাজ করে। যার কারণে সে মাদকের ব্যবসা করলেও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করত না কখনো। চঞ্চল তার মাদকের ব্যবসায় বাধা দিয়েছিল। এই জের ধরেই তারা চঞ্চলকে মারধ করে। ওরা খুনি। ওদের বিচার চাই।
মনির হোসেন বলেন, গত দেড়মাস হাসপাতালে ছিল চঞ্চল। একটি চোখ আর হাতে একটি আঙ্গুল ছাড়া আর কিছুই নাড়তে পারেনি। কোনো কথাও বলতে পারেনি। তার মাথা পুরোটাই থেঁতলে গিয়েছিল। এ ঘটনায় ১৪ মার্চ আমি বাদী হয়ে একটি মামলা করেছি। মামলাটি তদন্ত করছেন এসআই শাফীউল আলম।
এ প্রসঙ্গে নারায়ণগঞ্জ সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাফীউল আলম জানান, মামলা দায়েরের পর আনোয়ার হোসেন নামে একজনকে গ্রেফতার করে কোর্টে চালান করেছিলাম। সে জামিনে বেরিয়ে এসেছে। এরমধ্যে করোনার ঝামেলা চলে আসায় অন্যান্যতের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
তিনি আরও বলেন, হাসপাতালে চঞ্চলকে আমি নিজে যেয়ে দুই তিনবার দেখে এসেছিলাম। এছাড়া নিয়মিতই তার ভাই মামলার বাদী মনির হোসেনের সাথেও যোগাযোগ রক্ষা করেছি। মামলাটি আগে মারধরের ছিল। এখন এটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হবে। দ্রুত আসামীদের গ্রেফতার করতে পারবো বলে আশা করছি।
Discussion about this post