ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা মনির থানায় প্রবেশ করে কন্সষ্টেবল কালাম ও কুদ্দুসকে মারধর করার কয়েক ঘন্টার মধ্যে বিশেষ তদ্বিরে থানা থেকে ছেড়ে দেয়ার ঘটনায় সর্বত্র সমালোচনার ঝড় উঠেছে । খোদ পুলিশের অনেক সদস্য নাম প্রকাশ না করার অনুরোধে বলেছেন, এসপি জায়েদুল আলম যে কন্সষ্টেবলদের পছন্দ করেন না এইট হলো তার প্রমাণ । পুলিশ সুপারের আদেশ ছাড়া এমন আসামী একজন ওসি কখনোই ছেড়ে দিতে পারেন না। এসপি জায়দুল আলম কন্সষ্টেবলদের উপর এমন হামলা ও হামলাকারীকে থানা থেকে ছেড়ে দেয়ার বিষয়ে কি জবাব দেবেন তা জানতেই অধিক আগ্রহে অপেক্ষা করছেন পুলিশের সাধারণ সদস্যরা
নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
ফতল্লা থানার ভেতর হাজতে প্রবেশ করে সেন্ট্রির দায়িত্বরত পুলিশের দুই কনস্টেবল কুদুস ও কালামকে পিটিয়েছেন সদর উপজেলার নারী ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা মনির।
ঘটনায় সাথে সাথে প্রথমে আটক করে হাজতে রাখার পর ফের ওসির আদেশে মুন্সিীর কক্ষে আটকে রাখা হয় ফাতেমা মনিরকে ।
মামলারও প্রস্তুতির কথাও নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট কে জানান ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন ।
এমন ঘটনায় নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড়ের মধ্যে কয়েক ঘন্টা পরই সরকারদলীয় নেতাদের জোড়ালো তদ্বির ও নেতাদের মুচলেকাসহ নিজ মুচলেকায় ছাড় পান ফাতেমা মনির ।
থানায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের উপর হামলা ও মারপিটের পর কয়েকজন স্থানীয় নেতাদের জোড়ালো তদ্বিরে হাজত তেকে মুন্সীখানায় রেখে ফের ফাতেমা মনিরকে মুক্তি দেয়ার ঘটনায় খোদ পুলিশ সুপার জায়েদুল আলমের বিরুদ্ধেই নানা সমালোচনার ঝড় বইছে নগরজুড়ে ।
থানা সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে থানায় আটক এক আসামিকে দেখতে আসেন ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা মনির । পরে আটক আসামিকে ছাড়িয়ে নিয়ে যেতে চান। এতে বাধা দিলে থানা হাজতের দায়িত্বে থাকা কনস্টেবল কুদ্দুস ও কামালকে মারধর ও লাঞ্চিত করেন ফাতেমা মনির। এ ঘটনায় তাকে আটক করা হয়।
ঘটনার কিছুক্ষন পরই থানায় ছুটে আসেন ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফউল্লাহ বাদল, সাধারণ সম্পাদক এম শওকত আলী, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ্ নিজামসহ বেশ কয়েকজন নেতা। পরে তাদের মুচলেকায় ছাড়া পান সদর উপজেলার নারী ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা মনির।
থানার ভেতর পুলিশকে পিটিয়েও জনপ্রতিনিধির ছাড় পাওয়ার ঘটনাটি বিভিন্ন মহলে বেশ সমালোচিত হয়েছে। অনেকেই বলছেন, থানার ভেতর পুলিশ সদস্যকে পিটিয়েও ছাড় পাওয়ার এমন ঘটনা খারাপ দৃষ্টান্ত হয়ে রইলো ।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন বলেন, আসলে মারধর নয়। আমার পুলিশ সদস্যের সাথে দুর্ব্যবহার এবং উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করেছিলেন তিনি। এ ঘটনায় তাকে আটক করা হয়। পরে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের জিম্মা ও মুচলেকায় তাকে ছাড়া হয়েছে ।
ঘটনার সাথে সাথেই আসলাম হোসেন ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা মনিরের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছিলন ।
উল্লেখ্য, বিগত দিনে ফাতেমা মনির সাবেক এমপি সারাহ বেগম কবরী ও সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস সহ শ্রমিক লীগ নেতা কাউসার আহমেদ পলাশের সঙ্গে হাতাহাতিতে লিপ্ত হয়েছিলেন ।
Discussion about this post