নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
তিনি একজন গবেষক, রূপগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি । একই সাথে লেখক,-কলামিস্ট, প্রাবন্ধিক মীর আব্দুল আলিম । যিনি নিজেকে সমাজ সেবক একই সাথে শিল্পপতি হিসেবেও প্রচার করতে পছন্দ করেন ।
তিনি ( মীর আব্দুল আলিম ) সকল গুণে গুণান্বিত হিসেবে পরিচয় দিতে প্রচার মাধ্যমকে নানাভাবে ব্যবহার করেন । নিজের ব্যবসার পরিধি বৃদ্ধি করতে এই প্রচার মাধ্যমে নানা প্রবন্ধ ইতিমধ্যে প্রকাশও করিয়েছেন । সেই গবেষক মীর আব্দুল আলিম রূপগঞ্জ থেকে দামী গাড়ী হাকিয়ে নারায়ণগঞ্জ শহরের শহীদ মিনারে উপস্থিত হলেন বীরদর্পে ।
একবারের জন্য চিন্তাও করেন নাই ফেব্রুয়ারী হচ্ছে বাঙ্গালী জাতির জন্য বিশেষ একটি মাস । সেই সাথে যে শহীদ মিনারে মীর আলিম ধরা কে সরা জ্ঞান মনে করে পায়ে জুতা পরিহিত অবস্থায় ডানে ও বামে দু’জন বডিগার্ডের বেষ্টনীর মধ্যে জুতা পায়ে শহীদ মিনারের বেদীতে উঠে আসলেন তা দেখে হতবাক হয়েছেন উপস্থিত শতাধিক সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষ ।
যে শহীদ মিনারের পবিত্রতা রক্ষায় সাংবাদিকগণ সারা বছর জুড়েই প্রতিবাদ প্রতিরোধ ও নানাভাবে সচেতনতামূলক লেখনির মাধ্যমে সকলকে সতর্ক করেন সেই শহীদ মিনারে জুতা পায়ে উঠে আসলেন রূপগঞ্জের সাংবাদিক নেতা পরিচয় দানকারী গবেষক লেখক, কলামিষ্ট প্রাবন্ধিক, সমাজ সেবক মীর আবদুল আলিম ।
সাংবাদিক সাগর সারোয়ার এবং মেহেরুন রুনি হত্যাকান্ডের বিচারের দাবিতে প্রতীকী অনশন কর্মসূচীর আয়েজন করেছে সিদ্ধিরগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটি । সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চাষাড়াস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ কর্মসূচী অনুষ্ঠানে বেলা ১১ টা ২৭ মিনিটের এমন বিব্রতকর ও বিতর্কিত অবস্থায় শহিদ মিনারের বেদীতে উঠে আসার পর মীর আবদুল আলিমের বিরুদ্ধে শুরু হয় সমালোচনা ।
চাষাড়া শহীদ মিনারের বেদীতে ভাষা মাস ফেব্রুয়ারীতে এমন সাংবাদিক মীর আব্দুল আলিমের এমন কান্ডে উপস্থিত অনেকেই কঠোর ভাষায় সমাালোচনা করে বলেন , রূপগঞ্জে ভূমিদস্যূতা, বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকান্ডে নিজেকে সাংবাদিক নেতা হিসেবে প্রভাব বিস্তার করে এমন কোন অপকর্ম নাই যা মীর আবদুল আলিম ও তার নিয়ন্ত্রিত বাহিনী দ্বারা সংঘঠিত হয় না । এই আলিম নিজেকে সাংবাদিক নেতা পরিচয় দিয়ে ব্যাংকে নানা সুবিধা, মামা লায়ন মোজাম্মেলের প্রতিষ্ঠানের নানা প্রশাসনিক সুবিধা গ্রহণ করে যাচ্ছে বছরের পর বছর যাবৎ । আর এই প্রচার মাধ্যমকে ব্যবহার করছেন নিজের সুবিধার জন্যই । একই সাথে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের কাছ থেকে নানা বাবে সুবিদা আদায়সহ এলাকায় প্রভাব বিস্তার করতে খোদ মন্ত্রীকেও ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ রয়েছে মীর আলিমের বিরুদ্ধে ।
এমন বিতর্কিত কর্মকান্ডের প্রমাণ হিসেবে উপস্থিত অনেকেই তাৎক্ষনিকভাবে বলেন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর পারিবারিক প্রতিষ্ঠান গাজী টিভি তে কাজ করেন আশিকুর রহমান আশিক । সেই আাশিক দৌড়ে এসে মীর আব্দুল আলিম জুতা পায়ে শহীদ মিনারে উঠে আসার বিষয়টি সতর্ক করার পর শহীদ মিনারের বেদী থেকে নেমে যান মীর আলিম । এক্ষেত্রে আশিক নিজেকে মীর আব্দুল আলিমের ঘনিষ্ট সহচর হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে বলেও তীব্র ভাষায় সমালোচনা করেছেন অনেকেই ।
তিনি (মীর আবদুল আলিম) নিজেকে কবি ,সাহিত্যিক, গবেষক, প্রাবন্ধিক, শিল্পপতি, সমাজে সেবক হিসেবে প্রচার করলেও ভাষার জন্য যারা এই ফেব্রুয়ারীতে বুকের তাজা রক্ত দিয়েছেন তাদের সম্মান করতে জানেন না বলেও মন্তব্য করেছেন রূপগঞ্জের কেউ কেউ । এ সময় বিতর্কিত মীর আবদুল আলিমের বিশাল ফিরিস্তি তুলে ধরেন গণমাধ্যম কর্মীরা ।
Discussion about this post