বৃহস্পতিবার বিকেলে ১০০ শয্যার এই হাসপাতালটি চালু হয়েছে বলে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন। জাহিদুল ইসলাম জেলা করোনাভাইরাস বিষয়ক ফোকাল পারসন।
ডাঃ জাহিদল ইসলাম বলেন, এছাড়া স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে জেলা শহরের খানপুরে ৩০০ শয্যার সরকারি হাসপাতালটিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত (কোভিড-১৯) রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত করার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। তিন দিনের মধ্যে তারা কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসা দিতে পারবেন।
এটি নারায়ণগঞ্জের সবচেয়ে বড় সরকারি হাসপাতাল। এখানকার রোগীদের ১০০ শয্যার সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করার কাজও শুরু হয়েছে। এই হাসপাতালে সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হবে।
কোভিড-১৯ রোগীদের সেবা দেওয়ার প্রস্তুতি সম্পর্কে জাহিদুল বলেন, এখনও তাদের আইসিইউ করার সরঞ্জাম এবং ভেন্টিলেটর নেই। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
“তবু আমরা সংকটময় মুহূর্তে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য মানসিক প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমরা আমাদের সাধ্য অনুযায়ী সেবার দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।”
বাংলাদেশে কোভিড-১৯ রোগী প্রথম পাওয়া গিয়েছিল নারায়ণগঞ্জে। এখন ঢাকার পর নারায়ণগঞ্জেই রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এক চিকিৎসকসহ আক্রান্ত মোট ৪৬ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আর মারা গেছেন এক নারীসহ ছয়জন।
কোভিড-১৯ রোগী বাড়তে থাকায় পুরো নারায়ণগঞ্জ জেলাকে সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এই জেলা থেকে কেউ এখন আর বের হতে পারছে না, কেউ ঢুকতেও পারছে না। জেলার বাসিন্দাদের থাকতে হচ্ছে ঘরের ভেতরে।
জেলার সব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঁচ শয্যার আইসোলেশন ইউনিট খোলা হয়েছে। এছাড়া শহরের পুরাতন কোর্টে নতুন জুডিশিয়াল ভবনে ‘জেলা করোনা কোয়ারেন্টিন সেল’ প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
Discussion about this post