নারায়ণগঞ্জে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে । এমন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শুরু হলো ই পাসপোর্ট সেবা
ই-পাসপোর্ট চালু হওয়ায় জঙ্গিবাদ ও বিদেশিদের অপতৎপরতা সহজেই রোধ করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান।
শামীম ওসমান বলেন, জঙ্গিবাদে যুক্ত ব্যক্তিসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা বাংলাদেশের পাসপোর্ট ব্যবহার করে যেভাবে এ দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করে আসছিলেন, এখন ই-পাসপোর্টের মাধ্যমে সেটা খুব সহজেই রোধ করা যাবে। পাশাপাশি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিতে যেসব উদ্যোগ হাতে নিয়েছেন সব ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে এই ই-পাসপোর্ট।
বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে খাগড়াছড়ি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জসহ ছয়টি জেলায় ই-পাসপোর্টের কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
এ সময় বান্দরবান, রাঙ্গামাটি কক্সবাজার এবং চাঁদপুরেও একযোগে এই কার্যক্রম শুরু হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্যে সংসদ সদস্য শামীম ওসমান এসব কথা বলেন। এই সেবা চালু করায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগের এই প্রভাবশালী সংসদ সদস্য।
ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার ভূঁইগড়ে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের পাশে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে সকাল ১১টা থেকেই অবস্থান করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান, পাসপোর্ট অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক এ টি এম আবু আসাদ, অধিদফতরের ই-পাসপোর্টের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক কর্নেল জুলফিকার আলী, জেলা প্রশাসক মো. জসীম উদ্দিন, নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান এবং উপসহকারী পরিচালক মিজানুর রহমানসহ অন্য কর্মকর্তারা।
দুপুর দেড়টায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর সংসদ সদস্য শামীম ওসমান নিজের ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করার পর থেকে এখানকার কার্যক্রম শুরু করেন। পরে সাধারণ মানুষ এই সেবা নিতে আসেন। ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট সেবা জেলায় শুরু হওয়ায় সাধারণ মানুষ উপকৃত হওয়াসহ প্রবাসীরা আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে স্বল্প সময়ে ভোগান্তি ছাড়াই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন বলে মনে করেন গ্রাহকরা।
তবে দালালের শরণাপন্ন না হয়ে ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে ই-পাসপোর্টের আবেদন করতে সবার প্রতি আহ্বান জানান পাসপোর্ট অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক এ টি এম আবু আসাদ।
তিনি বলেন, আবেদনের ক্ষেত্রে সঠিক তথ্য দিলে স্বল্প সময়ে ই-পাসপোর্ট হাতে পাওয়া সম্ভব। আর ভুল তথ্য দেওয়ার কারণেই অনেকে হয়রানি হচ্ছেন। তাই আবেদনপত্রে সঠিক ও নির্ভুল তথ্য দিতে সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
গত ৬ নভেম্বর থেকে নিজস্ব ভবনে সেবা কার্যক্রম চালু হয় নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে। প্রতিদিন দেড় থেকে দুই শতাধিক মানুষ সেবা নিতে আসছেন। মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে বর্তমানে সেবাগ্রহীতার সংখ্যা কম হলেও এর আগে প্রতিদিন গড়ে পাঁচ শতাধিক মানুষ সেবা নিয়েছেন। এর আগে ২০১৪ সালের ২৩ জুলাই সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানার জালকুঁড়ি এলাকায় অস্থায়ীভাবে জেলার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস চালু হয়।
Discussion about this post