বিশেষ প্রতিনিধি :
বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে বিএনপি রাজনীতি করছে এমন মন্তব্য করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, মেডিকেল বোর্ড বলছে বেগম জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর মতো অবস্থা এখনো সৃষ্টি হয়নি।
শনিবার সকালে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় নতুন বাস্তবায়ন হওয়া সড়ক পরিবহন নিরাপত্তা আইন এর কার্যকরের ব্যাপারে বিআরটিএ’র ভ্রাম্যমান আদালতের কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের একথা জানান।
বেগম জিয়া প্রসংগে ওবায়দুল কাদের বলেন, তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের বক্তব্যের সাথে বিএনপি’র বক্তব্যের কোন মিল নেই। বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থার এমন কোনো অবনতি হয়নি যে তাকে বিদেশ পাঠাতে হবে। মেডিকেল বোর্ডে বেগম খালেদা জিয়ার পছন্দের ডাক্তার রয়েছেন। সেই মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা বলছেন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ভালো আছেন এবং তিনি সুচিকিৎসা পাচ্ছেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসংগে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের অভিযোগের ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের পাল্টা প্রশ্ন তুলে বলেন, নির্বাচন যদি সুষ্ঠু না হতো তাহলে মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি কেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে? তিনি বলেন, মির্জা ফখরুলের ভাষায় বর্তমান সংসদ যদি অবৈধ হয়ে থাকে তাহলে তিনি সহ সংসদে যোগ দেওয়া বিএনপির সাতজন সংসদ সদস্য অবৈধ।
বিএনপি প্রসংগে ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে তারা নেতাকর্মীদের চাঙ্গা রাখতে এখন গলাবাজি করছে। জনগণ তাদের আন্দোলনে সাড়া না দেওয়ায় নেতৃত্বে ব্যর্থ হয়ে তারা এখন মানুষের কাছে নালিশ করছে। বিএনপি’র এই নালিশ “অভিযোগের রোগে” পরিণত হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
দেশের চলমান শুদ্ধি অভিযান প্রসংগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, সারাদেশে তৃণমূল পর্যায়ে শুদ্ধি অভিযান চলছে।এরই মধ্যে জেলা ও তৃণমূল পর্যায়ে ভূমিদস্যু, মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সম্মেলনে এসব ভূমিদস্যু, সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজরা যাতে স্থান না পায় সে বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ পুরোপুরিভাবে বাস্তবায়িত হলে দেশে দুর্ঘটনা অনেক হ্রাস পাবে এবং সড়ক-মহাসড়কগুলোতে শৃংখলা ফিরে আসবে বলে মনে করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
এ প্রসংগে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সড়কে শৃংখলা ফেরাতে সড়ক পরিবহন আইন পহেলা নভেম্বর থেকেই কার্যকর করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এজন্য সারাদেশে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
মন্ত্রী জানান, এই প্রচার প্রচারণা আগামী সাতদিন পর্যন্ত চলবে এবং এই সময়ের মধ্যে কোন পরিবহনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের না করতে সংশ্লিষদের নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে বিআরটিএ’র ভ্রাম্যমান আদালতের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন এবং নিজেও বিভিন্ন পরিবহন চালক ও যাত্রীদের হাতে সচেতনতা মূলক লিফলেট তুলে দেন।
মন্ত্রীর সাথে এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান ডঃ আহসানুল করিম, পুলিশের অতিরিক্ত আইজি ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন-অর-রশিদ, সদর উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা বারিকসহ বিআরটিএ’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ।
Discussion about this post