আড়াইহাজার (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি :
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে পাঁচ বছরের শিশু লিজাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে জনতা ৩ জনকে ধরে গণপিটুনী দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার (২৩সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা হতে দুপুরের মধ্যে উপজেলার সাতগ্রাম ইউনিয়নের পুরিন্দা বড়বাড়ি এলাকায় নান্নু মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া সামাদ এর ঘরে।
নিহত শিশু লিজা পুরিন্দা বড় বাড়ি এলাকার রমজান আলীর কন্যা।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে বাড়িতে খেলা করার সময় লিজা নিখোজ হন। লিজাকে না পেয়ে পরিবারের লোকজন খোজাখুজি শুরু করে। দুপুর পোনে ১টার দিকে লিজার পিতা রমজান আলী মেয়েকে খুজতে খুজতে পাশের নান্নু মিয়ার বাড়িতে যান। সেখানে নান্নু মিয়ার ছেলে মোহাইমেন ও অনু মিয়াকে নিয়ে ভাড়াটিয়া সামাদের ঘরে খুজতে থাকে। ঐ সময় তার ঘরের বারান্দার কক্ষে চৌকির মধ্যে ছেড়া কাথা দিয়ে ঢাকা অবস্থায় লিজার মৃত দেহ দেখতে পান। নিহত লিজার খোলা শরীর,গলায় গামছা বাঁধা ও পা দুটো বেল্ট দিয়ে বাঁধা এবং তার গোপনাঙ্গ রক্তাক্ত অবস্থায় ছিল। ঐ সময় লিজার বাবা রমজান আলী চিৎকার দিলে আশেপাশের লোকজন এসে আশ্রাব আলীর ছেলে ভাড়াটিয়া সামাদ (৩৫),উপজেলার আসোয়াট এলাকার আনোয়ার হোসেন আনুর ছেলে সোহেল (৩৫) ও নরসিংদীর মাধবদী থানার ভগিরতপুর এলাকার নাসিরউদ্দিনের ছেলে শিমুল (৩২) কে আটক করে গণপিটুনী দিয়ে পুলিশে শোপর্দ করে।
বাড়ির মালিকের ছেলে মোহাইমেন জানান,তাদের এ ঘরটিতে সামাদ ও শিমুল ভাড়া নিয়ে থাকত।
লিজার পিতা রমজান আলী জানান,নিহত শিশু লিজার গোপনাঙ্গ রক্তাক্ত অবস্থা দেখে ধারনা করা হচ্ছে লিজাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
আড়াইহাজার উপ পরিদর্শক কাজী সালেহ আহমদ জানান,স্থানীয় উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করতে পুলিশ কাজ করছে।
নিহতের পরিবার থেকে মৌখিকভাবে ধর্ষণের কথা বলা হচ্ছে। তবে নারায়ণগঞ্জ থেকে পিবিআই টিম আসলে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করা হবে।
আড়াইহাজার থানার ওসি (তদন্ত) জানান, ধারনা প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। তবে ময়না তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যনাত মামলার প্রস্তুতি চলছে।
Discussion about this post