নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
মশা মারতে কামান দাগোনোর প্রয়োজন নাই বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান ।
৬ এপ্রিল শনিবার বিকেলে শহরের ইসদাইরে বাংলা ভবন কমিউনিটি সেন্টারে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগ পরিবারের বিরুদ্ধে ধ্বসের চক্রান্তর বিরুদ্ধে রুখে দাড়াও শীর্ষক জরুরী কর্মীসভার শুরুতেই সংক্ষিপ্ত বক্তব্যকালে প্রধান অতিথি হিসেবে এমন কথা বলেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান।
সভায় মহানগর আওয়ামী লীগের সেক্রেটারী খোকন সাহা, সহ সভাপতি চন্দন শীল, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফউল্লাহ বাদল, সেক্রেটারী শওকত আলী, বন্দর আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ রশিদ, জেলা কৃষক লীগের সেক্রেটারী ইব্রাহিম চেঙ্গিস প্রমুখ উপস্থিত আছেন।
শামীম ওসমান তার বক্তব্যে আরো বলেন, আপনার কি ভাবছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জানে না ? অবশ্যই জানেন। আগামী ১০-১২ দিনের মধ্যে টের পাবেন। কারো পদত্যাগ করতে হবে না, দরকার হলে আমি একা করবো ।’
‘নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে শামীম ওসমান বলেন, ‘পোষাকধারী সন্ত্রাসীদের মানুষ দেখতে চায় না। কর্মীসভা করেন, কাউকে ভয় পাবেন না। নির্ভয় নিজ নিজ এলাকায় অবস্থান করেন কর্মীসভা করেন কাউকে ভয় পাবেন না। আমরা সিনিয়র নেতাদের সাথে বসে, যে সকল কর্মসূচি দিবো, আপনারা তা পালন করবেন।’
শামীম ওসমান আরো বলেন, ‘শেখ হাসিনা বাংলাদেশে অনাচার দূঃশাসন করতে পারবে না। খোদার কসম যদি কোন ব্যবসায়ী, জনসাধারণ, নেতাকর্মী ও সাংবাদিকদের খোঁচাবেন, তাহলে অগ্নিদগ্ধ জন বিস্ফোরণে ধ্বংস হয়ে যাবেন।’ জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি থাকাকালে আমি পতাকা ছিঢ়ে ফেলেছি, গুলি করেছে, খালেদা জিয়া নারায়ণগঞ্জে এসে আমাদেরকে খুজেছিলো, দেখিয়ে দিয়েছি । পালাবার পথ পায় নাই ।
পর্দার আড়ালেও খেলা থাকে। হুট কইরা কাউরে ভুল বুইঝেন না। বাইরে থেইকা আইসা কেউ হয়তো এই খেলায় পা দিয়া ফেলছে। পর্দার আড়ালে অনেক খেলা হচ্ছে। আমি কারো নাম বলবো না। আমি এগুলারে গুণায় ধরি না। জামাতের সাথে তার কানেকশন ফাঁস হইলো। তদন্ত হইলো। এরপরই শুরু হইলো এই খেলা। বাইরের লোকরে দোষ দিয়া লাভ নাই। দোষতো আমার ঘরের মানুষের। যাকে আমি সন্ত্রাসের কারণে দুইবার আমি মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে আনলাম। যে কিনা শ্রমিক আন্দোলনের নামে অসন্তোষ করে। তাকে এরেস্ট করার নির্দেশ ছিলো। আমি বললাম, কইরেন না। সরায়ে দেন। এখন সেও নাকি সন্ত্রাস বিরোধী কমিটি করে, আমার হাসি লাগে। নারায়ণগঞ্জে আরেকজন আছে মহিলা। যার সাথে জামায়াতের সাথে জড়িত। সেই কথা প্রকাশ হয়েছে। সেই তিনি হুমকি দেন মামলা করবেন। তয় করেন না ক্যান ? ও সাংবাদিক ভাইয়েরা তারে গিয়া বলেন না, মামলা করতে। দেখি না কতটুকু সৎ সাহস থাকে তাহলে যেন মামলা করে।
তিনি বলেন, কেউ যদি মনে করে কাউকে ব্যবহার করে নারায়ণগঞ্জের শান্তিপূর্ণ অবস্থা নষ্ট করবেন, তা হবে না। এখানে যারা ব্যবসা করে তারা তো বিদেশী না। এখানকার স্থানীয়। আমাদেরই ভাইব্রাদার। এখন তাদেরকে কেউ ফোন করে বলবেন, দেখা করেন। আমি বলবো, দেখা করার সময় শেষ এটা হচ্ছে শেখ হাসিনার বাংলাদেশ।
উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে শামীম ওসমান বলেন, আপনেরা টেনশনমুক্ত থাকেন। নিজ নিজ এলাকায় থাকেন। এরপরও যদি আমার কোনো নেতাকর্মীদের অযথা হয়রানি করা হয় তাহলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। কোনো টেনশনের দরকার নাই। এরপরও যদি কেউ খেলতে চায় তাহলে খেলা হবে। আগ্নি দেখেছেন অগ্নির স্ফুলিঙ্গ কিন্তু দেখেন নাই। এরপরও যদি খেলা হয় তাহলে ২৪ ঘণ্টা না ৬ ঘণ্টার নোটিশ দেব। তবে, চিন্তা কইরেন না। খেলাখেলির দরকার নাই। খেলার আগেই খেলা শেষ হবে ইনশাল্লাহ।
শাহ নিজামের বিরুদ্ধে জিডি হইসে, টিটুর নামে মামলা হইসে, সজলের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেন ? কর্মীরা ভয়ে থরথর করে কাঁপছে, আমরা ভীত ? না । যুবলীগ, ছাত্রলীগ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। কাউকে ভয় পায় না। কেউ যদি খেলতে চান, ডোন্ট প্লে, নারায়ণগঞ্জে খেইলেন না। সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করবে তাকে জুয়ার মামলার আসামী বানায়ে দিবেন। আমার আত্মীয় স্বজনকে মদের সাপ্লায়ার বানায়ে আমারে কাবু করতে চাইবেন, কইরেন না। আমারে কাবু করা যাবে না। অপেক্ষা করেন, আগামী দশ বারদিনের মধ্যে টের পাবেন।
তিনি বলেন, কেউ যদি মনে করেন, নারায়ণগঞ্জের এই কাউন্সিলরকে ফাঁসাবো, ওর থেকে চাঁদাবাজি করবো। ওরে ফাঁসাবো। বাস থেকে চাঁদা খাবো। ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করবো। ওটা কইরেন না। নারায়ণগঞ্জে এটা হবে না। সাংবাদিকেরা লিখবে, প্রশ্ন করবে আপনি তার কণ্ঠরোধ করবেন। কইরেন না। এটা প্রশাসনের কাজ না। এটা করলে সরকারের উপর দোষ পড়বে, নারায়ণগঞ্জের মাটিতে যদি কাউরে ক্ষতি করার চেষ্টা করা হয় তাহলে একটা সেকেন্ডের জন্য কাউকে টিকতে দেওয়া হবে না। খোঁচা দিয়েন না। খোঁচা দিলে স্ফুলিঙ্গ জ্বইলা গেলে খোকন সাহাতো দূরের কথা আমি শামীম ওসমানও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আটকায়ে রাখতে পারবো না। তবে একটা অনুরোধ করবো, বাইরের মানুষরে দোষ দিয়েন না। তারা না বুইঝা করছে। ঘরের মানুষদের দোষ দেন। মোশতাকদের দোষ দেন ।
Discussion about this post