সাদ্দাম হোসেন আসিফ ফতুল্লার মাসদাইর গুদারাঘাট এলাকার আমির খসরুর ছেলে ও আসিফের মা রাজিয়া (৫৫) খালা সুলতানা বেগম (৫০)। আটককৃত আসামীরা ছাড়াও এই পরিবারের সকল সদস্যরা নানা কারণে নারায়ণগঞ্জে ব্যাপকভাবে সমালোচিত । ঘাতক পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা শহরের বিভিন্ন এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে নানা অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে আসছে বলেও ব্যাপক সমালোচনা রয়েছে শহরজুড়ে । এই চক্রটির অন্যান্য হোতারা আসামীদের উচ্চ আদালত থেকে জামিন করাতে ব্যাপকভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে । খুনি চক্রের সকলেই এই শহরে দীর্ঘদিন যাবৎ বসবাস করলেও মূলতঃ এদের এই শহরে কোন স্থাযী বসবাস নাই বলেও জানায় মাসদাইরবাসী
নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
সদর উপজেলার ফতুল্লার মাসদাইর এলাকায় পাওনা টাকা চাওয়া অপরাধে ইলেট্রিক মিস্ত্রী আব্দুর রহিম (৩৫) কে ছুরিকাঘাত হত্যা মামলার প্রধান আসামি ঘাতক সাদ্দাম হোসেন আসিফ ও তার মা এবং খালার জামিন না মঞ্জুর করেছেন আদালত ।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আনিসুর রহমানের আদালত আইনজীবীদের মাধ্যমে জামিন আবেদন করলে তা না মঞ্জুর করেন ।
আসামিরা হলেন, সাদ্দাম হোসেন আসিফ ফতুল্লার মাসদাইর গুদারাঘাট এলাকার আমির খসরুর ছেলে ও আসিফের মা রাজিয়া (৫৫) খালা সুলতানা বেগম (৫০)। আটককৃত আসামীরা ছাড়াও এই পরিবারের সকল সদস্যরা নানা কারেণে নারায়ণগঞ্জে ব্যাপকভাবে সমালোচিত । ঘাতক পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা শহরের বিভিন্ন এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে নানা অসামাজিক কার্যকলাপচালিয়ে আসছে বলেও ব্যাপক সমালোচনা রয়েছে শহরজুড়ে । এই চক্রটির অন্যান্য হোতারা আসামীদের উচ্চ আদালত থেকে জামিন করাতে ব্যাপকভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ।
এ বিষয়ে সরকারি কৌশলি (পিপি) এড. এস এম ওয়াজেদ আলী খোকন জানান, মাসদাইর এলাকায় পাওনা টাকা চাওয়া অপরাধে ইলেট্রিক মিস্ত্রী আব্দুর রহিমকে ছুরিকাঘাত হত্যা মামলায় প্রধান আসামি ঘাতক সাদ্দাম ও তার মা এবং খালার জামিনের আবেদন করলে তা না মঞ্জুর করেছেন আদালত ।
প্রসঙ্গত, গত মাসের (১৭ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে ফতুল্লার মাসদাইর গুদারাঘাট এলাকায় এ হত্যান্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহতের মা রহিমা বেগম বাদী হয়ে আসিফকে প্রধান আসামী করে ফতুল্লা মডেল থানায় রাতেই একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে শনিবার ভোর রাতে মুন্সিগঞ্জের বিক্রমপুরের হাসাইল এলাকা হতে আসিফ এবং মাসদাইর গুদারাঘাট এলাকা থেকে হত্যার আলামত নষ্ট করার অপরাধে হত্যাকারীর মা ও খালাকে গ্রেপ্তার করা হয় । নিহত আব্দুর রহিম শরিয়তপুরের জাজিরা থানার মাঝিকান্দির ইমান আলীর ছেলে। তারা স্বপরিবার ফতুল্লার মাসদাইর গুদারাঘাট এলাকার ইলিয়াস সরদারের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসাবে বসবাস করে।
মামলার এজারহার সূত্রে জানা গেছে, মাসদাইর গুদারাঘাট এলাকার ইমান আলীর ছেলে রহিম ইলেকট্রিকের কাজ করে। সে কিছুদিন আগে আসিফের বাড়িতে ইলেকট্রিকের কাজ করা বাবদ ৫ হাজার টাকা পাওনা রয়েছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে ফতুল্লার মাসদাইর গুদারাঘাট এলাকায় রহিম আসিফকে দেখে পাওনা টাকা চায়। সেই টাকা চাওয়ার কারণে আসিফের সাথে কথাকাটাকাটি হয়।
একপর্যায়ে আসিফসহ আরো কয়েকজন মিলে রহিমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ ৩শ’ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
Discussion about this post