শহরের মদের আস্তানা গড়ে তুলতে প্রকাশ্যে গাজী মুক্তারসহ আরো কয়েকজনের নাম গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলেও নেপথ্যে কারা কলকাঠি নাড়ছেন তা নগরবাসীর রয়েছে এখনো অজানা । তবে যে নগরীতে প্রভাবশালী কয়েকটি চক্রের কথা ছাড়া যেন কোন কাজ হয় না সেই প্রভাবশালী একাধিক চক্র রয়েছে রহস্যজনক কারণে নিশ্চুপ ।
এ ছাড়াও কিছু শ্রেণী পেশার মানুষ যারা সামান্য টু পাইসের আশায় নানাবাবে লম্ফঝম্ফ করলেও এখন উল্টোপথ অবলম্বন করেছেন । এরা কারা ? এমন হাজারো প্রশ্নের পর এবার নগরীতে মদের বার ইস্যুতে কর্মসূচি দিয়েও পিছ পা হয়েছে প্রতিবাদী হেফাজত ইসলাম। পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি দুই দফা পেছালেও শেষ পর্যন্ত অংশ নেয়নি সংবাদ সম্মেলনে। হেফাজন নেতাদের দাবি, প্রশাসনের অনুরোধে কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে ডিআইটি মসজিদ চত্বরে সংবাদ সম্মেলন করার কথা ছিল হেফাজত ইসলামের নারায়ণগঞ্জ শাখার। সেই সংবাদ সম্মেলন বাদ জোহর নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে করার কথা জানান হেফাজত ইসলামের প্রধান সমন্বয়ক মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান। কিন্তু সেখানেও হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনের সময় দুই দফা পরিবর্তনের ব্যাপারে গণমাধ্যমকে মাওলানা আব্দুল আউয়াল বলেন, সদর থানার ওসি এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের অনুরোধে স্থগিত করা হয়েছে। তারা আশ্বস্ত করেছেন, হোটেলের অন্তরালে বারের ব্যবসা চালানো হবে না। আর যদি হয়, তাহলে আমাদের সামনে রেখে ভেঙ্গে দিবে। তারপরও যদি বার চালানো হয়, তাহলে বৃহত্তম কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
ব্যাপারটি নিয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, হেফাজত ইসলামের দাবি ছিল মদের বার যেন না হয়। তাদের দাবি মেনেই বার না করে রেস্টুরেন্ট করা হচ্ছে। তাই তাদের কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।
তবে, নগরবাসী অনেকের মতে, ‘সরাসরি কর্মসূচী ঘোষনা না দিয়ে প্রথমে তো তারা প্রশাসনের কাছে যেতে পারতো। তহলেইতো প্রশাসন তাদেরকে আশ্বস্ত করতেন। ঘোষনা দিয়ে সরে আসার মধ্যে রহস্য কী !’
প্রসঙ্গত, চাষাঢ়া প্রেস ক্লাব ও শহরের অন্যতম প্রধান মসজিদ বায়তুল নূর মসজিদের পশ্চিমে প্যারাডাইস টাওয়ারে একাধিক ফ্লোর ভাড়া নিয়ে ব্লু পিয়ার নামে মদের বার করার চেষ্ঠা করে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু নগরবাসীর প্রতিবাদের মুখে পরে অবশেষে রেস্টুরেন্ট করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এমন সংবাদ বিভিন্ন নিউজ পোর্টালে প্রকাশের পর নগরীতে ব্যাপকভাবে সামালোচনার সৃষ্টি হয়েছে । অনেকেই বলেছেন বিগত দিনে শহরের সাড়াসী অভিযান চালিয়ে মদের আসর /জুয়ার বিশাল বিশাল আসর বন্ধ করা হয়েছিলো । কিন্তু সেই আসর কি এখন আর বন্ধ রয়েছে ? শহরের প্রাণকেন্দ্র চাষাড়াস্থ একটি প্রভাবশালীদের ক্লাবের তৃতীয় তলায় জুয়ার আখড়া পরিচালিত হচ্ছে বলে চাউর রয়েছে । অপরদিকে এলিট ক্লাব থেকে নিয়মিত মদের চালান আসছে আবার বেরও হচ্ছে বলে জোড় অভিযোগ রয়েছে । শহরের আমলাপাড়ার একটি বাড়িতে কন্টেইনার ভর্তি করে মদের চালান প্রতিনিয়তঃ ঢাকা থেকে নিয়ে আনার পর গুদাম জাত হচ্ছে । যা এলাকার সকলের জানা থাকলেও শুধু জানেন না প্রশাসনের আইনশৃংখলা বাহিনী। এমন অপকর্ম যেহেতু বন্ধ হয় নাই তাই ব্লু পিয়ার রেস্টুরেন্টের নামে মদের ব্যবসা বন্ধ করা কঠিন । কে করবে এই মদের ব্যবসা বন্ধ ?
Discussion about this post