নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলামের বাড়ী থেকে গোলাগুলির পর আটক করা হয় নরসিংদীর কুখ্যাত অপরাধী ১৭ মামলার আসামী আওলাদ হোসেন মিঠুন (৩৫) কে। গ্রেফতারের সময় মেয়রের ছোট ভাই শফিকুল ইসলাম পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে গেলে ধরা পরে আসামী মিঠুন সহ তার অপর এক সহযোগি । শফিকুল ইসলাম ও ক্রসফায়ারে নিহত কুখ্যাত সন্ত্রাসীরা কাঞ্চন এলাকায় টর্চার সেল তৈরী করে নানা অপরাধ চালিয়ে আসছিলো বলে অভিযোগ উঠেছে । ক্রসফায়ারে নিহত মিঠুন তার বাড়ী থেকে আটকের বিষয়টি স্বীকার করলেও অন্যান্য এমন অভিযোগ মিথ্যে বলে দাবী করেছেন মেয়র রফিকুল ইসলাম
নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
গ্রেপ্তারের পর পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন, যার বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র কেনাবেচার অভিযোগ রয়েছে বলে পুলিশের ভাষ্য।
নরসিংদী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই আবদুল গাফফার জানান, শনিবার ভোরের দিকে মাধবদী উপজেলা শহরের টাঁটাপাড়া মহল্লায় গোলাগুলির এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আওলাদ হোসেন মিঠুন (৩৫) ওই মহল্লার জাকির হোসেনের ছেলে।
এসআই গাফফার বলেন, মিঠুনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় হত্যা, অস্ত্র, বিস্ফোরক ও মাদকের প্রায় দেড় ডজনখানেক মামলা রয়েছে । মিঠুন ও তার সহযোগী সোহেলকে শুক্রবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের কাঞ্চন এলাকা থেকে আটক করা হয় ।
পুলিশ তাকে নিয়ে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে গেলে তার অন্য সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ করে গুলি ছুড়ে। পুলিশ পাল্টা গুলি ছুড়লে তারা পালিয়ে যায়। এ সময় মিঠুনের সহযোগীদের গুলিতে মিঠুন আহত হন। নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় পুলিশের দুই সদস্য আহত হয় জানিয়ে মিঠুনের সহযোগী সন্ত্রাসী হৃদয় (২২), মাইনুল (২৪), মেহেদি হাসানকে (২৫) ২টি বিদেশী পিস্তল, ১টি পাইপগান ও ৮ রাউন্ড গুলিসহ গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। নিহত মিঠুনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় হত্যা, অস্ত্র, বিস্ফোরক ও মাদকের ডজন খানেক মামলা রয়েছে।
প্রত্যাক্ষদর্শী অনেকেই বলেন, শুক্রবার ৩০ আগষ্ট সকালে জেরার কাঞ্জন পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলামের বাড়ী থেকে সন্ত্রাসীদের সাথে পুলিশের গোলাগুলির পর গ্রেফতার করা হয় সন্ত্রাসী আওলাদ হোসেন মিঠুন (৩৫)সহ তার এক সহয়োগিকে । পুলিশের এমন আুপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় মেয়রের ভাই শফিকুল । এমন খবর পেয়ে ছুটে আসেন কাঞ্চন পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম । এরপর আটক করা হয় কুখ্যাত অপরাধী আওলাদ হোসেন মিঠুন কে । মূলতঃ এই বাড়ীতে বসেই শফিকুল ইসলামের টর্চার সেলে নানা অপরাধ চালিয়ে আসছিলো অপরাধীরা । জমি সংক্রন্ত অসংখ্য ঘটনাও ঘটিয়ে ব্যাপক তান্ডব চালাতো বলেও দাবী করেছে এলাকাবাসী । মেয়র রফিকুলের ভাই শফিকুল গুলি করে এক হেলপাড়কে হত্যা করার ঘটনাও ব্যাপকভাবে সমালোচিত ।
এমন অভিযোগের বিষয়ে কাঞ্চন পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট কে বলেন, রাস্তায় দ্যৗড়াদৌড়ি করে সন্ত্রাসীরা আমাদের বাড়িতে আসার পর পুলিশ সাদা পোষাকে হাজির হয় । খবর পেয়ে আমি এসে প্রথমে ফাড়ির ইনচার্জকে ফোন দেই । ফাড়ির ইনচার্জসহ অন্যান্য পুরিশ সদস্যদের উপস্থিতিতে সন্ত্রাসীদের আটক করে নরসিংদীতে নিয়ে যায় । এবং ক্রসফায়ারে এক সন্ত্রাসী মারা গেছে বলে শুনেছি । আমাদের বাড়ীতে কোন টর্চার সেল নাই । এগুলি মিথ্যে ও বানােয়াট বলে দাবী করেছেন মেয়র রফিকুল ।
Discussion about this post