নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে নারীকে টর্চারের ভিডিও ভাইরাল, একই সাথে প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদককে ‘খ…….. পোলা, তোরে গুলি কইরা মাইরা ফালামু’ এমন হুমকিসহ প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্র বিরোধী একাধিক কার্যকলাপের কারণে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদ থেকে দৈনিক কালবেলা’র জেলা প্রতিনিধি আবু আল আমিন খান মিঠুকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে ।
একই সঙ্গে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে না এই মর্মে জানতে চেয়ে নোটিশ প্রদানের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে। সভায় পত্র প্রাপ্তির পর ৭ দিনের মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গত ১১ আগস্ট (শুক্রবার) সকাল ১১টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব কার্যালয়ে কার্যকরী পরিষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। উক্ত সভায় আবু আল আমিন খান মিঠু উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জীবনকে গুলি করে হত্যার হুমকি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু সাউদ মাসুদকে গালিগালাজ ও প্রেসক্লাবের অভ্যন্তরে স্ত্রী রাবেয়া সুলতানাকে নির্যাতনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৪ জুলাই নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় ইংরেজি দৈনিক “দ্যা নিউ এইজ” পত্রিকার নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি মো. রফিকুল ইসলাম জীবনের মোবাইল ফোনে কল দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং হত্যার হুমকি প্রদান করে আবু আল আমিন খান মিঠুর। এ বিষয়ে একই দিন রাতে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক।
এর আগে, আবু আল আমিন খান মিঠুর বিরুদ্ধে একাধিক বিবাহ, স্ত্রীকে মারধর-শারীরিক নির্যাতন ও সন্তানকে জোর করে নিজের কাছে রেখে দেয়ার বিষয় জানিয়ে সন্তান ফিরিয়ে দিতে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয় তার স্ত্রী রাবেয়া সুলতানা।
অভিযোগে ঐ নারী আরও উল্লেখ করেন, আমি আমার স্বামীর স্ত্রী থাকা অবস্থায় আমাকে না জানিয়ে মিঠু আরেক বিয়ে করে। পরে আমার আড়াই বছরের কণ্যা সন্তানকে জোর করে রেখে দেন এবং আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ শারীরিক নির্যাতন করে। এমন শারীরিক নির্যাতন আমার স্বামী প্রায়ই করেন, গতকালও যার ব্যতিক্রম হয়নি। মারতে মারতে আমার মাথা কেটে রক্তাক্ত হয়। শুধু তাই নয়, অভিযোগ দেয়ার কারণে বেপরোয়া মিঠু নিজের স্ত্রীকে প্রেসক্লাবে এনে মিঠুর বাবা মায়ের সামনেই প্রেসক্লাবের লিফটের সামনে মারধর করে। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ইতিমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
দৈনিক কালবেলা’র জেলা প্রতিনিধি আবু আল আমিন খান মিঠুর উল্লেখিত এমন কর্মকান্ডের বিষয়ে গত কয়েকদিন যাবৎ নগরীতে ব্যাপক প্রচার রয়েছে , “প্রেসক্লাব হচ্ছে সবশেষ আস্থার স্থল । আর সেই প্রেসক্লাবে কি করে টর্চার হলো ? প্রেসক্রাব কি টর্চার সেল ? একজন নারী এই প্রেসক্লাবের নেতাদের সামনে নিরাপদ থাকতে পারে নাই । আবার এই ক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের মাকে উল্লেখ করে অকথ্য ভাষায় গালি দিয়ে গুলি করে হত্যার হুমকি দেয় কি করে ? আবু আল আমিন খান মিঠুর অস্ত্র কোথায় পেলো ? এতো দিনেও ওই অস্ত্রটিও উদ্ধার হচ্ছে না কেন ? এই আবু আল আমিন খান মিঠুর খুঁটির জোর কোথায় ? কে দিচ্ছে তাকে শেল্টার ? এমন অসংখ্য প্রশ্ন উত্থাপিত হচ্ছে খোদ প্রেসক্লাবের সাধারণ সদস্যসহ নগরবাসীর।
Discussion about this post