নারায়ণগঞ্জ শহরের নানা অপরাধের হোতা আলী হায়দার শামীম ওরফে পিজা শামীমের হোন্ডা বাহিনী কর্তৃক গত বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) বন্দর উপজেলার ফরাজীকান্দি এলাকায় এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিষয়ে সন্ত্রাসীদের হামলায় মইনুল হক নামের এক ব্যক্তিকে গুলিবিদ্ধ করার ঘটনায় চার আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে নারায়ণগঞ্জ ডিবি পুলিশ।
২০ মার্চ সোমবার বিকেলে তাদের ফুলবাড়িয়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ফুলবাড়িয়া গ্রামের জহিরুল ইসলাম সোহেল ওরফে মনিরের ছেলে আবির (২৮), একই এলাকার দলদার গ্রামের মুন্না (২৮), দমদমা গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে অনয় (২৫), কাবিরগঞ্জ গ্রামের রুবেল (২৬)। গ্রেপ্তারকৃতরা আজমেরী ওসমানের অনুসারী ।
নারায়ণগঞ্জ ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক রুহুল আমিন জানান, বন্দর এজাহার সূত্রে জানা যায়, বন্দর থানাধীন ফরাজিকান্দা বাজার এলাকার নামচর মৌজার সি.এস ও এস.এ দাগ নং ২০, আর.এস, ৩ ও ৪ নং দাগে ৬৬ শতাংশের একটি জমি নিয়ে মামলার আসামিদের সঙ্গে বিরোধ আদালত পর্যন্ত গড়ায়। ঘটনার আগের দিন বুধবার (১৫ মার্চ) রাতে মামলার প্রধান আসামি আলী হায়দার শামীম ওরফে পিজা শামীম তার অনুসারী হোন্ডা বাহিনীর ২০-২৫ জন সন্ত্রাসীকে নিয়ে বাদীর বাড়িতে গিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হত্যার হুমকি দেন।
তার পরের দিন বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্রসহ মামলার এজহারনামীয় আসামিরাসহ আরও ২৫-৩০ জন সন্ত্রাসী জোরপূর্বক ওই জমি দখলের চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে মইনুল হক পারভেজের স্ত্রী আবিদা সুলতানা সোমা (৩৬) ঘটনাস্থলে গেলে আসামি আলী হায়দার শামীম ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী সোমার ওপর নির্যাতান চালায়।
খবর পেয়ে তার স্বামী মইনুল হক পারভেজ এলাকার লোকজন নিয়ে তাকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে মামলার প্রধান আসামি আরও উত্তেজিত হয়ে তার হাতে থাকা আগ্নেআস্ত্র দিয়ে মইনুলের পায়ে গুলি করে। এ ঘটনায় সোনারগাঁ উপজেলার ফুলবাড়িয়া এলাকা থেকে চার যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বন্দর থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক জানান, ফরাজীকান্দা এলাকায় গুলিবর্ষনের ঘটনায় চার আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বেআইনী অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মঙ্গলবার সকালে জেলা আদালতে প্রেরন করা হলে আসামীদের কারাগারে পাঠায় আদালত ।
Discussion about this post