ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ শহরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নত করতে নানা উদ্যোগ হাতে নিয়েছে ‘দ্য কোকা-কোলা ফাউন্ডেশন’।
এই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে কর্ডএইড বাংলাদেশের রিসাইক্লিং ফর দি এনভায়রনমেন্ট বাই স্ট্রেংদেনিং ইনকাম অ্যান্ড লাইভলিহুড অব এনটারপ্রেনারস– রেজিলিয়েন্ট নামক নতুন একটি প্রকল্পে তহবিল প্রদান করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে কোকা-কোলা বাংলাদেশ লিমিটেড।
এতে বলা হয়, রিসাইক্লিংয়ের জন্য নিরাপদ ও দক্ষতার সঙ্গে প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কল্যাণ নিয়ে কাজ করাই প্রকল্পটির উদ্দেশ্য। এই প্রকল্প ইকোসিস্টেম থেকে প্লাস্টিক বর্জ্য অপসারণের মাধ্যমে টেকসই জীবিকা নির্বাহের জন্য উদ্যোক্তা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে। যা অনানুষ্ঠানিক পরিচ্ছন্নতাকর্মী এবং এই সংক্রান্ত বিভিন্ন সমিতির জ্ঞান ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।
এ প্রকল্পের সময়কালে (১২ মাসে) রেজিলিয়েন্ট ৪২০ জন সুবিধাভোগীর জীবনে ইতিবাচক প্রভাব রাখবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর মধ্যে আছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৪০০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী এবং ২০ জন বর্জ্য সংগ্রহকারী।
প্রকল্পটির লক্ষ্য হলো উভয় সিটি করপোরেশনে ৬টি কারখানার মাধ্যমে প্রতি মাসে ৫০ টন প্লাস্টিক বর্জ্য রিসাইকেল করা।
প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান কর্ডএইডের প্রতিনিধি বলেন, প্যাকেজড পণ্যের চাহিদা যতদিন থাকবে, বর্জ্য সমস্যাও ততদিন থাকবে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও এই সমস্যা কমিয়ে আনতে বিকল্প উপায় খুঁজে বের করা আমাদের নাগরিক দায়িত্ব। রিসাইক্লিং বা সার্কুলার ইকোনমি বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকর সমাধান হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি এবং প্লাস্টিক রিসাইক্লিংকে একটি লাভজনক ও মহৎ ব্যবসা হিসেবে তুলে ধরলে তা নতুন বিভিন্ন উদ্যোগ আকৃষ্ট করতে পারে।
দ্য কোকা-কোলা ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট সাদিয়া ম্যাডসবার্গ বলেন, বাংলাদেশে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় অনানুষ্ঠানিক খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। মূল্যবান সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে ব্যবসায়িক মডেল, জ্ঞান ও সক্ষমতার উন্নতি ঘটিয়ে প্রকল্পটি এই খাতের উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করে
Discussion about this post