সারাদেশের সকল জেলায় অবৈধভাবে প্রতিটি জেলার সিভিল সার্জনকে নিয়মিত মাসোয়ারা দিয়েই চিকিৎসার নামে অবৈধ কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে অপরাধীরা। চিকিৎসার নামে জেলা সদর ও থানা পর্যায়ের সরকারী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারীদের দালাল হিসেবে ব্যবহার করে অবৈধ ক্লিনিক ও ডয়াগণস্টিক সেন্টারের নামে নগ্ন কর্মকান্ড পরিচারিত হচ্ছে। অসুস্থ্যদের সাথে চিকিৎসার সারা বছর জুড়েই তামাশা করে অসাধু বিশাল একটি চক্র আঙ্গুল ফুলে করাগাছ বনে গেছে।
আর প্রতিটি জেলায় সিভিল সার্জনের ঘনিষ্ঠ কর্মচারী দুই একজন নিয়মিত প্রতিটি বৈধ ও অবৈধ সকল ক্লিনিক ও ডায়াগণস্টির সেন্টার থেকে মাসোয়ারা আদায় করে চিকিৎসার নামে অপরাধ কর্মকান্ড চালাতে উৎসাহিত করেই যাচ্ছে সিভিল সার্জরাই ।
এমন ঘটনায় মহাখালীস্থ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘সদ্য শপথ নেয়া স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন আজ ১৬ জানুয়ারী মঙ্গলবার নির্দেশ দিয়েছেন যেসব হাসপাতাল ও ক্লিনিকের লাইসেন্স নেই সেগুলো বন্ধ করতে।
কিন্তু কে শুনবে কার কথা !
একেকটি জেলায় একেকজন সিভিল সার্জনের এক কিংবা দুইজন বিশ্বস্থ কর্মচারী আছেন যারা নিয়মিত প্রতিটি ক্লিনিক ও ডায়াগণস্টির সেন্টার মাসোয়ারা (চাঁদা) আদায় করেন বীরদর্পে। যেমন উদহারণ হিসেবে রাজধানী ঢাকার পাশের একটি জেলায় সিভিল সার্জনের একজন কর্মচারী মামুন দামী গাড়ি হাকিয়ে প্রতিমাসে সকল ক্লিনিক ও ডায়াগণস্টিক সেন্টার থেকে চাঁদাবাজি করেন বীরদর্পে । সামান্য চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী হলেও মামুন নামক এই কর্মচারী প্রতিটি সিভিল সার্জন কে ম্যানেজ করেই চাঁদাবাজি করেই যাচ্ছে বিরামহীনভাবে। মামুনদের থামনোর সাধ্য কারো নাই। অসংখ্য ঘটনা ওই জেলায় ঘটলেও নির্লজ্জ সিভিল সার্জনের অবৈধ চাঁদার টাকার নেশায় মামুনদের কাছে জিম্মি হয়ে আছেন তারা। এই মামুন রা একেকজন যেন নিজেরাই মন্ত্রী। এই মামুনদের ঠেকাবে কে ?’
যেসব হাসপাতাল ও ক্লিনিকের লাইসেন্স নেই সেগুলো বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
শিশু আয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় তিনি বলেন, ‘মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের বিরুদ্ধে সাময়িক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে। অবৈধ হাসপাতাল ক্লিনিকের বিপক্ষে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এক্ষেত্রে আদালতের যে নির্দেশনা আছে তা দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী নিবন্ধিত বেসরকারি হাসপাতালের সংখ্যা ৮ হাজার ও ক্লিনিক ৯ হাজার। এর বাইরে যেসব হাসপাতাল ও ক্লিনিক এখনও নিবন্ধিত হয়নি তাদের বিরুদ্ধে শিগগিরই অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছেন অধিদপ্তরের এডিজি ডা. আহমেদুল কবীর।
Discussion about this post