নারায়ণগঞ্জের ব্যাপকভাবে আলোচিত সমালোচিত সংসদ সদস্য ওসমান পরিবারের অন্যতম ব্যবসায়ী সন্তান জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী সেলিম ওসমানের নির্বাচনী প্রচার কার্যক্রমে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে বিএনপির ছয় নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী সেলিম ওসমানের নির্বাচনী প্রচার কার্যক্রমে উপস্থিত থাকার ঘটনা ব্যাপকভাবে দীর্ঘদিন যাবৎ সমারোচিত হলেও বিজ্ঞপ্তিতে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ করা হয়েছে।
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। তাদের প্রাথমিক সদস্যপদসহ দলীয় সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বিএনপি থেকে বহিস্কৃত নেতারা হলেন- নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক আতাউর রহমান মুকুল, ১২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শওকত হাসেম শকু, বন্দর উপজেলা বিএনপি নেতা হান্নান, সুলতান আহম্মেদ, গোলাম নবী মুরাদ ও সোনারগাঁ থানার ১৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপিরসহ সভাপতি মো. নুরুজ্জামান।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক আতাউর রহমান মুকুল বলেন, বহিষ্কারের চিঠি পেয়েছি। কেন্দ্র মনে করেছে বহিষ্কার করার দরকার তাই করেছে। আবার যখন দরকার মনে করবে তখন নিয়ে নিবে।
এর আগে ২৬ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জের বন্দরের সমরক্ষেত্রে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী সেলিম ওসমানের নির্বাচনী সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান।
সমাবেশে অন্যান্য অতিথিদের সঙ্গে বন্দর থানা বিএনপির আহ্বায়ক হান্নান সরকার, সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ ও যুগ্ম-আহ্বায়ক গোলাম নবী মুরাদ উপস্থিত ছিলেন। তারা আগেও সেলিম ওসমানের পক্ষে মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দেন।
এমন ঘটনা ছাড়াও বিএনপির অনেকে উল্লেখিত নেতা আতাউর রহমান মুকুল, শওকত হাসেম শকু, বন্দর উপজেলা বিএনপি নেতা হান্নান, সুলতান আহম্মেদ, গোলাম নবী মুরাদসহ আরো কেউ কেউ এক দিকে বিএনপি ও জামায়াত ইসলামীর রাজনীতি করা নেতারা মামলা হামলা থেকে রক্ষা পেতে ওসমান পরিবার ও পুলিশের সোর্স হিসেবে লিয়াঁজো করে যাচ্ছেন। একই সাথে নিজেদের পিঠ বাঁচানোর পাশাপাশি নিজ নিজ এলাকায় ওসমান পরিবারের নাম ব্যবহার করে ক্ষমতা প্রদর্শণসহ নানাভাবে বাণিজ্য চালিয়ে আঙ্গুল ফুলে একেকজন কলাগাছ বনে যাচ্ছেন কেউ কেউ । অপর দিকে নিজ নিজ দলের নেতাদের নাম, ঠিকানা ও অবস্থান পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে সোর্স হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে নানাভাবে বাণিজ্যে অব্যাহত রেখেছে । এমন খবর সকলে জানা থাকলেও এতো দিনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের নজরে পরায় বহিস্কার করেছে বলে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির কয়েকজন নেতা মন্তব্য করেছেন ।
Discussion about this post