রূপগঞ্জে বালুর মাঠ থেকে উদ্ধার হওয়া নিহত শিশুর পরিচয় পাওয়া গেছে।
১৬ মে (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় শিশুর পরিবার রূপগঞ্জ থানায় এসে মরদেহ শনাক্ত করেছেন। তাদের দাবি, পারিবারিক কলহের জেরে সৎ বাবা তাকে তুলে নিয়ে হত্যা করেছেন।
শিশুটির নাম ইয়ামীন (৮)। সে রাজধানীর মেরুল বাড্ডা এলাকার ফিরোজ আলম মাসুদের ছেলে ও আনন্দনগর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের কেজি ওয়ানের শিক্ষার্থী ছিল।
নিহতের স্বজনরা জানায়, ১৭ বছর আগে শিশুটির মা আমেনা বেগমের বিয়ে মাসুদের সঙ্গে। ইয়াসিন ও ইয়ামীন নামে তাদের দুই সন্তান রয়েছে। চার বছর আগে মাসুদ মানসিক অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে আমেনা ফরিদ নামে এক ব্যক্তিকে আবারও বিয়ে করেন। গত এক মাস ধরে সৎ দুই সন্তানকে লেখাপড়া ও ভরণপোষণ নিয়ে দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে আমেনার ঝগড়া শুরু হয়। রোববার রাতে এ নিয়ে তাদের কথা কাটাকাটি হয় এবং ফরিদ আমেনাকে বড় ক্ষতির হুমকি দেয়।
এরই মধ্যে সোমবার সকালে নিখোঁজ হয় ইয়ামীন। খোঁজ করে না পেয়ে রাতে বাড্ডা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন মা আমেনা। মঙ্গলবার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে মাধ্যমে রূপগঞ্জে অজ্ঞাত শিশুর মরদেহ পাওয়া খবর পেয়ে থানায় গিয়ে ছেলেকে শনাক্ত করেন।
এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আতাউর রহমান বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে শিশুটির মরদেহ পরিবারে হস্তান্তর করা হয়েছে। হত্যায় এখনও মামলা হয়নি।
Discussion about this post