আড়াইহাজার প্রতিনিধি :
সোনারগাঁয়ের বিশনাদী গ্রামের ডাকাত আমির হোসেন (৫০) এর কাঁধামাখা লাশ শনিবার সকালে আড়াইহাজার উপজেলার হাইজাদী ইউনিয়নের মাধবদী এলাকার একটি বোরো ক্ষেত থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারের দাবী, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, একটি বোরো ক্ষেতের মাঝখানে নিহত আমিরের লাশটি পড়ে রয়েছে। সকালে এলাকার কৃষকেরা ধান কাটতে গিয়ে লাশটি দেখতে পান। সংবাদ পেয়ে পার্শ্ববর্তী গ্রাম সোনারগাঁ থানার বিশনাদী থেকে আমিরের পরিবারের লোকজন এসে লাশটি সনাক্ত করে।
নিহত আমিরের ছোট ভাই ছানাউল্লাহ (৩৫) জানান, শুক্রবার রাতে চাচাতো ভাই আলাউদ্দিন, শফিকুল এবং নবী গংদের সঙ্গে একটি সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে নিজেদের মধ্যে একটি পারিবারিক বৈঠকে বসা ছিল আমির হোসেন। রাত ১১টার দিকে একটি ফোন পেয়ে আমির বৈঠক থেকে উঠে যায় এবং পরে আর ফিরে আসেনি। শনিবার সকালে লোক মারফত সংবাদ পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে এসে লাশ সনাক্ত করেন। তার দাবী এটি একটি হত্যাকান্ড। নিহত আমির হোসেন বিশনাদী গ্রামের মৃত সরফত আলীর ছেলে।
বোরো ক্ষেতের মাঝখানে নিহত আমির হোসেনের লাশ দেখে উপস্থিত অনেকেই বলেন, “আমির একজন চিহ্নিত ডাকাত এটি সকলেই জানেন । কিন্তু কথা হচ্ছে, এই চিহ্নিত ডাকাতকে খুন করার মতো সাহস করলো আবার কারা ? যারা আমির কে খুন করেছে তারাও ডাকাতদের চাইতে কম সাহস না ! তারা কত বড় ডাকাত তা দেখাও জরুরী । তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় না আনা হলে এই খুনীরা আরো অঘটন ঘটাতে পারে।
সোনারগাঁ থানার ওসি (তদন্ত) আহসানউল্লাহ জানান, আমির হোসেন সোনারগাঁ থানার তালিকাভুক্ত ডাকাত। সোনারগাঁ থানা পুলিশের অপরাধীর তালিকায় তার নাম রয়েছে ।
সোনারগাঁ থানার নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চোয়ারম্যান সামছুদ্দিন জানান, নিহত আমির হোসেন আমার প্রতিবেশি। অপরাধী হলেও আইন হাতে তুলে নেওয়ার বা কাউকে হত্যা করার অধিকার কারো নেই। আমি এ ঘটনাকে সমর্থন করিনা।
আড়াইহাজার থানার ওসি মুহাম্মদ ইমদাদুল ইসলাম তৈয়ব বলেন, নিহতের পরিবার মামলা দিতে চাইলে অবশ্যই মামলা নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করা হবে।
Discussion about this post