নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার আলীগঞ্জে স্বামীর সাথে অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে রাবেয়া বেগম (২২) নামের এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে পুলিশ নিহতের স্বামী মো. রবিউল মাদবরকে (২৩) গ্রেফতার করেছে।
বৃহস্পতিবার (৪ মে) রাতে ফতুল্লা মডেল থানার আলীগঞ্জ পূর্বপাড়ার হাজী আসাদ আলীর ভাড়া বাসার নীচ তলায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মো. রানা বাদী হয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছে।
নিহত রাবেয়া বেগম ফরিদপুর জেলার ভাংগা থানার কাউলীপাড়ার নিচিন্দাপুরের মৃত নুর ইসলামের মেয়ে।
গ্রেফতারকৃত মো. রবিউল পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী থানার কাজির হাওলা গ্রামের মৃত জাফর মাতবরের ছেলে। সে স্ত্রীকে নিয়ে ফতুল্লা মডেল থানার আলীগঞ্জ পূর্বপাড়ার হাজী আসাদ আলীর ভাড়া বাসায় বসবাস করতো। সে পেশায় অটোরিকশা চালক।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, তিন বছর পূর্বে পারিবারিকভাবে গ্রেফতারকৃতের সাথে নিহতের বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে জুনায়েদ নামের দেড় বছরের একটি শিশু সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর হতে নানা অজুহাতে গ্রেফতারকৃত রবিউল বাদীর বোনকে শারীরিক এবং মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছিল। এ নিয়ে পারিবারিকভাবে একাধিকবার সালিশি বৈঠক হয়। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে বাদীর ভাইয়ের স্ত্রী বাদীকে ফোন করে জানায় যে তার বোন রাবেয়া বেগম গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে এসে নিহতের লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে পরবর্তীতে ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের মরদেহ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
নিহতের স্বামী রবিউল মাতবর জানায়, মোবাইল ফোনের কথা বলা নিয়ে তার স্ত্রীর সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এ নিয়ে তার অনুপস্থিতিতে স্ত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
এ বিষয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়া ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক জিয়াউর জিয়া জানায়, নিহতের ভাইয়ের দায়ের করা আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলায় নিহতের স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়।
Discussion about this post