রূপগঞ্জের গাউছিয়ায় রহিমা ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্স লিমিটেডে বয়লার বিস্ফোরণে আলমগীর হোসেন নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। তার বয়স ৩৫ বছর। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৪ জনে।
বিস্ফোরণের এ ঘটনায় চিকিৎসাধীন আরও ৩ জন। তারা হলেন- মো. রাব্বি (৩৫), মো. ইব্রাহিম (৩৫), মো. জুয়েল (৩৫)।
বৃহস্পতিবার (৪ মে) বিকেল ৪টার দিকে বিস্ফোরণের এ ঘটনা ঘটে।
দগ্ধ অবস্থায় ৭ জনকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়।
তাদের মধ্যে শংকর (৪০) নামে একজনের মৃত্যু হয় ঘটনার পর পরই।
এছাড়া মো. ইলিয়াস (৩৫) নামের আরও একজনের মৃত্যু হয় বৃহস্পতিবার (৪ মে) রাতে।
শুক্রবার সকালে নিয়ন (২০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দগ্ধদের মধ্যে যারা ভর্তি হয়েছিলেন তাদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা ছিলো আশঙ্কাজনক। তাদের শরীরের ৯০ থেকে ৯৭ ভাগ পুড়ে গেছে।
চিকিৎসাধীন ইব্রাহিমের শরীরের ২৮ শতাংশ, মো. জুয়েলের ৯৭ শতাংশ এবং গোলাম রাব্বির শরীরের ৯৯ শতাংশ পুড়ে গেছে।
ভুলতা ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, লোহা গলানোর কারখানাটির নির্মাণ কাজ এখনো পুরো শেষ হয়নি লোহা গলানোর কাজ শুরু করা হলেছিলো পরীক্ষামূলক ভাবে। বৃহস্পতিবার বিকেলে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এতে গলিত উত্তপ্ত লোহা ছিটকে পড়ে গুরুতর দগ্ধ হন শ্রমিকরা।
রহিমা ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্সের সুপারভাইজার শফিকুল ইসলাম একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ছয় মাস আগে এখানে লোহা উৎপাদনের কাজ শুরু হয়েছে। কারখানাটিতে সব ধরনের নিরাপত্তাব্যবস্থা আছে। শ্রমিকরাও সেফটি জ্যাকেট পরেছিল। বিস্ফোরিত অতিরিক্ত গরম লোহা ছিটকে পড়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
Discussion about this post