গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘দেশের টাকা বিদেশে যাচ্ছে। সুইস ব্যাংকে এক বছরে বাংলাদেশিদের সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। হলমার্ক কেলেঙ্কারি নিয়ে কথা উঠলো পার্লামেন্টে। তখন অর্থমন্ত্রী বললো সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা কোনো টাকা হইলো। আর ব্যাংকে টাকা নড়ে চড়েনি সেটার জন্য খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়েছে।’
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার (১৮ মার্চ) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুরে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির উদ্যোগে এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
গয়েশ্বর রায় বলেন, ‘২০০৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত সব এমপির সম্পদের হিসাব প্রকাশ করা হোক। প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন রেহানার দেশ-বিদেশে কত সম্পদ আছে সেগুলো প্রকাশ করা হোক। জনগণের ভোটে যদি আওয়ামী লীগ নির্বাচিত হতো তাহলে জনগণকে জবাবদিহিতা করতে হতো। কিন্তু দেশটা তো আর জনগণের হাতে নেই।’
তিনি বলেন, ২০০৮ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত সব এমপির সম্পদের হিসাব প্রকাশ করার জোর দাবি জানাচ্ছি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আরো বলেন, ‘বিদ্যুৎখাত টাকা লুট করার অন্যতম খাত। মেগা প্রজেক্ট মানে মেগা চুরি। কুইক রেন্টাল মানে কুইক চুরি। আমাদের স্বপ্ন দেখিয়েছিল ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ। এই কুইক রেন্টাল জনগণের ওপর বোঝা। বিদ্যুৎ উৎপাদন না করলেও তাদের চার্জ দিতে হবে। গত ১০ বছরে আওয়ামী লীগের লোকজন ৬০ হাজার কোটি টাকা নিয়ে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কয়েকদিন পরপরই বিদ্যুতের দাম বাড়ে। যতবারই দাম বাড়ে ততবার আওয়ামী লীগের দাম কমে।’
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের সভাপতিত্বে এসময় ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটুসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন ।
Discussion about this post