গত বছরের ৫ ডিসেম্বর বন্ধুদের সঙ্গে লঞ্চযোগে চাঁদপুরের মতলবে লেংটার মেলায় যাবার পথে লঞ্চ থেকে পড়ে গিয়ে নিহত হন সোনারগাঁয়ের হযরত আলী (২০)।
ঘটনার তিন দিন পর মেঘনা নদীর চর হোগলা এলাকার তীর থেকে হযরতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
প্রথমে অসাবধানতাবশত লঞ্চ থেকে পড়ে গিয়ে হযরতের মৃত্যু হয়েছে মনে করা হলেও ঘটনার দেড় মাস পর আসা ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যায় চাঞ্চল্যকর তথ্য।
লঞ্চ থেকে পড়ে মৃত্যু নয়, বরং হযরতকে হত্যার পর তার বন্ধুরা লাশ নদীতে ফেলে দেয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে হত্যার আলামত পাওয়ার পর গত শনিবার হযরতের বাবা মরতুজ মিয়া সোনারগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলার প্রেক্ষিতে র্যাব-১১’র একটি দল নিহতের তিন বন্ধুকে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আজ রোববার দুপুরে ফতুল্লার অক্টো অফিস এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। তবে কেন এবং কী কারণে এই হত্যকাণ্ড তা জানার চেষ্টা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
গ্রেপ্তাররা হলেন- ফতুল্লার পশ্চিম মাসদাইর এলাকার মো. জুবায়েত ইসলাম (১৯), ইসদাইর প্রাইমারি স্কুল এলাকার মো. রিফাত (১৮) এবং গাবতলী নতুন বাজার এলাকার মো. সজল (১৮)।
নিহতের বাবা মরতুজ মিয়া বলেন, গত বছরের ৫ ডিসেম্বর পাঁচ বন্ধুর সঙ্গে হযরত মতলবে লেংটার মেলায় যাবার উদ্দেশে বাসা থেকে বের হয়। লঞ্চের পেছনে টয়লেটে যাবার জন্য বালতি দিয়ে নদী থেকে পানি তোলার সময় অসাবধানতাবশত নদীতে পড়ে যায় হযরত। হযরতের বন্ধুদের এ কথা লঞ্চের স্টাফরাও বিশ্বাস করে তাকে উদ্ধারের জন্য গজারিয়া কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা হযরতকে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। তিন দিন পর ৮ ডিসেম্বর হযরতের লাশ মেঘনা নদীর চরগোগলা এলাকার তীর থেকে উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-১১’র এএসপি মো. রিজওয়ান সাঈদ জিকু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, র্যাব অভিযান চালিয়ে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে। তাদের তদন্ত সংস্থার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
Discussion about this post