প্রতি মাসে সরকারী নির্দেশনার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক রাখতে প্রায়ই দেখা যায় তিতাস, পরিবেশ, ভোক্তা অধিকারসহ নারায়ণগঞ্জে কর্মরত কর্মকর্তারা নানাভবে অভিযান চালায় অপরাধীদের বিরুদ্ধে । এমন অভিযান নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা রয়েছে পুরো জেলাজুড়ে। নারায়ণগঞ্জের প্রায় সকলেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নারায়ণগঞ্জ থেকে কোটি কোটি টাকার ঘুষ বাণিজ্য করতে প্রশাসনের বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তা কর্মচারীরা নানা পন্থায় বদলী হয়ে এসেই শুরু করে ঘুষ বাণিজ্য ।
সম্প্রতি পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের এমন অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করলে তারা বলেন, “ ঘুষ নেয়ার প্রশ্ন আপনারা সাংবাদিকরা আমাদের করতে পারেন না । কারণ অনেক সাংবাদিক আমাদের দপ্তরে আসেন , সমাঝোতা করে চলেও যান। তাই এমন প্রশ্ন করার এখতিয়ার আপনাদের মতো সাংবাদিকদের নাই !“
এমন অনিয়ম দূর্ণীতিকে ঢেকে রাখতে বিশেষ পেশার লোকজনকে ভাড়া করে নিউজ কভার করতে গাড়ি পাঠনোর পর আবাার বিকাশে এবং নগদে অর্থ দেয়ার বিষয়ে তিতাসের কর্মকর্তা মেসবাউর রহমানকে প্রশ্ন করলে তিনি নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট কে বলেছেন, “সাংবাদিকদের সম্মানের কারণে তাদেরকে ৫ / ৩ / ২ হাজার আবার ১ হাজার টাকাি হিসেবে খরচা দিয়ে থাকি। এটি সাংবাদিকদের সম্মানী।”
কোথেকে এই টাকার যোগান দেন এমন প্রশ্নে বিব্রত বোধ করে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন মেজরাউর।
ঠিক এমনিভাবেই প্রতিবার নারায়ণগঞ্জের নিদিষ্ট কয়েকজন বিশেষ পেশার লোকজন ও ক্যামেরাম্যানদের নিয়ে “ক্যামেরা অন কাটিং শুরু !” নামক নাটক মঞ্চায়ন করেই যাচ্ছে প্রতিনিয়তঃ। যা সর্বত্র হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে ।
আর এমন ঘটনাকে ‘নাটক মঞ্চায়ন‘ বলেও সমারোচনার ঝড় উঠেছে। এতো সমারোচনার পর এমন নাটক মঞ্চায়নের পর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কে ফোনে অনুরোধ করে ডেকে এনে এমন কান্ডের হালাল রূপ দেয়ার অপচেষ্টা করে তিতাসর অসাধু চক্র ।
এমন দৃশ্য দেখে রূপগঞ্জের মৈকুলী এলাকার অনেকেই প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তিতাসের এই ভন্ডামী বন্ধ হবে করে ? এই অবৈধ সংযোগ দিয়ে রাস্ট্রের কোটি কোটি টাকার মুল্যবান গ্যাসের ক্ষতি কিভাবে ? এতোদিন করতে পারলো কার কার শেল্টারে ? এর নেপথ্যে কে / কারা ?
জানা যায়, রূপগঞ্জে অবৈধ গ্যাস সংযোগের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। এসময় একটি পয়েন্টে কয়েল কারখানা, বেকারিসহ তিন কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত প্রায় পাঁচ হাজার অবৈধ আবাসিক গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে বিভিন্ন সরঞ্জাম।
রোববার (১৫ জানুয়ারি) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মৈকুলী এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়। এতে নেতৃত্ব দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসান মারুফ।
তিতাসের সোনারগাঁও আঞ্চলিক বিপণন বিভাগের উপ ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী হাসান আহমেদ জানান, গত কয়েক বছরে একটি ক্ষমতাসীন প্রভাবশালী মহল রূপগঞ্জে গ্যাস লুটপাটের মহোৎসব চালিয়েছে। তারা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিপুল সংখ্যক অবৈধ সংযোগ দিয়েছেন। গত বছরের শুরু থেকে সেসব সংযোগ চিহ্নিত করে অভিযান চালানো হচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় আজকের এই অভিযান।
Discussion about this post