নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের উদ্দোগে নগরীর ক্রাইমজোন হিসেবে পরিচিত রেলওয়ের জমির উপর জিমখানা বস্তির পরিবর্তে শেখ রাসেল পার্ক নির্মাণের কারণে নানা ধকল শুনতে হয়েছে শাসক দলের কোন কোন নেতার মুখ থেকে। ঘিঞ্চি এই নগরীর বুকে পরিবেশ বান্ধব পার্ক নির্মানের বিষয়টি মেনে ই নিতে পারে নাই শাষক দলের একাংশের কোন কোন বিতর্কিত নেতা। বিপুল ভোটের ব্যবধানে নগরীর নির্বাচনে পরাজিত এই নেতা নানাভাবে এই নগরীতে বিশৃংখলা সৃস্টি করেই যাচ্ছে বছরের পর বছর যাবৎ। এরই ধারাবাহিকতায় খোদ রেলমন্ত্রীর কানে কানপাড়া দিয়েছিলেন বিতর্কিত ওই নেতা।
বিগত দিনে বিতর্কিত ওই নেতার কানপড়া শুনে এক প্রকার ক্ষোভও প্রকাশ করেছিলেন রেলমন্ত্রী । এমন পার্ক ঘিরে কানপড়া ছাড়াও বন্দর ও নারায়ণগঞ্জ শহরের শীতলক্ষায় কদম রসুল সেতু যাতে না করতে পারে সিটি কর্পোরেশন সে লক্ষ্যেও নানা কুটচাল করে যাচ্ছে ওই নেতা ও তার চেলা চামূন্ডারা। নগরীতে ওই বিতর্কিত নেতা নগরবাসীর কোন উন্নয়ন করতে না পারলেও নগরবাসীর ভোগান্তিতে মহাপটুর ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে সব সময়। আর এই নগরীতে ওই নেতার সাথে যোগসাজস করে বিশাল জমি হাতিয়ে বানিজ্যিক দোকান করতে এরই মধ্যে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা । রেলওয়ের সামান্য জমির উপর দিয়ে এই কদমরসুল সেতু যাতে না করতে পারে তার জন্যও কানপড়া দিয়ে কান ভারী করে রেখেছিলেন বিতর্কিতরা।
আর এতো দিন পর খোদ রেলমন্ত্রী সরজমিনে রেল মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে উপস্থিত হয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে রেলের জমিতে নির্মাণ করা শেখ রাসেল পার্কের প্রশংসা করেছেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।
শনিবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাড়া রেলস্টেশন ও কালিরবাজার রেলস্টেশন ও শেখ রাসেল পার্ক পরিদর্শনে শেষে সাংবাদিকদের নানা বিষয়ে কথা বলেন ।
রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, এখানে রেলের জায়গা ছিল। এটাকে উদ্যোগ নিয়ে একটি সরকারি সংস্থা পার্ক করেছে। এটা ভালো উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যেসব এলাকা জনস্বার্থে, দেশ ও এলাকার স্বার্থে জায়গা নেওয়া হয়েছে, সেগুলো সমঝোতার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সমাধান করেছি। আমাদের কতগুলো জায়গা বেদখল হয়ে গেছে। রেলের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ দিক বিবেচনা করে আমরা উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিবো।
রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, রেল লাইনের ডাবল লাইনের কাজ হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জবাসী খুব সহজে ঢাকা যেতে পারবে। কাজ শেষে হলে এখান থেকে ঢাকা যেতে সময় লাগবে ১৫ থেকে ২০ মিনিট । উন্নয়ন হচ্ছে, উন্নয়নের কাজ যেন ঠিকভাবে চালিয়ে নেওয়া যায়। উল্টাপাল্টা কইরেন না, ভোটটা ঠিকমতো দিয়েন। সামনে ভোট আসতেছে।
তিনি বলেন, ডাবল লাইন করতে গেলে কী হতে পারে, এমনিতে এখন এক লাইনের রেল ক্রসিংয়ের সময়ে রাস্তা বন্ধ হয়ে থাকে, জ্যাম তৈরি হয়। সে ব্যাপারে আমাদের মেয়র মহোদয় উদ্বিগ্ন। তাহলে তো আমাদের এসব বন্ধ হয়ে যাবে। আন্ডারপাস ও ওভারপাস করা যায় কিনা-তা নিয়ে ওনি ভাবছেন এবং আমরাও চিন্তা ভাবনা করছি। এ বিষয়ে কী করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আজকে আমার যে কারনে আসা। সড়কের কিছু অংশ নিয়ে আমাদের ডাবল লাইন করতে হচ্ছে। সশরীরে এটা দেখার জন্য আমি এসেছি। আমি যা দেখলাম, সড়কের খুব বেশি একটা সমস্যা হবেনা বলে আমার ধারনা। আমার সাথে মেয়র মহোদয় নিজেও দেখেছেন।
রেল লাইনের উন্নয়নের বিষয়ে তিনি বলেন, ঢাকা-চিটাগাংয়ের সাথে নারায়ণগঞ্জে লাইন হবে। চিটাগাংয়ের সাথে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের রেলপথের দূরত্ব ৯১ কিলোমিটার কমে যাবে। এখন আছে ৩২১ কিলোমিটার তখন হবে ২৩১ কিলোমিটার। নারায়ণগঞ্জের যেমন পরিবর্তন হচ্ছে এভাবে গোটা দেশের উন্নয়ন হচ্ছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক কামরুল আহসান, প্রকল্প পরিচালক আব্দুর রউফ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই ও মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি আনোয়ার হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি আব্দুল কাদির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, মহানগর আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক জি এম আরাফাত সহ রেলওয়ে ও জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন দেওভোগ বাবুরাইলের রাসেল পার্ক ঘুরে এলাকার পরিবেশ দেখে সন্তোষ প্রকাশের পর উপস্থিত অনেকেই বলেছেন, “নিন্দুকে মুখে চুনকালী পরলো। ওই চক্র শুধু নগরবাসীর ভোগান্তি সৃষ্টি করে লুটপাট ই করতে পারে। রেলওয়ের জমিতে দোকান নির্মানের কথা বলে অনেকের কাছ থেকে এরই মধ্যে কোটি কোটি টাাক হাতিয়ে নিয়েছে বিতর্কিত নেতা তার সাথে থাকা উচ্ছিষ্টভোগি চক্র।”
Discussion about this post