একজন পুলিশ সুপার নারায়ণগঞ্জ জেলায় ঘুরেফিরে নানাভাবে প্রায় সাত বছর অতিবাহিত করে ব্যপক সমালোচনায় পরেছেন একটি রাজনৈতিক মামলায় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের পক্ষে আদালতে অত্যান্ত গোপনীয়তা রক্ষা করে প্রতিবেদন দাখিল করার কারণে।
মহানগরীতে চাউর আছে ওই বিতর্কিত এসপি নাকি একজন ডিআইজির ভায়রা ভাই হওয়ার কারণে নারায়ণগঞ্জের মতো গুরুত্বপূর্ণ জেলার এতো বছর টিকে আছেন এতো বিতর্কের পরও। কিন্ত পুলিশের কন্সস্টেবল থেকে পদোন্নতি পেয়ে এএসআই পদ মর্যাদার সদস্যের কোন ভায়রা ভাই রয়েছে যার খুটির জোরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হাজারো সমালোচনার পরও টিকে আছেন আব্দুর রহিম ? এমন প্রশ্ন ছিলো অনেকের মুখে ।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মশিউর রহমান বদলীজনিত এবং নব নিযুক্ত ওসি গোলাম মোস্তফার যোগদান উপলক্ষে আয়োজিত জনসভায় মাইকে বক্তব্য রাখেন বিতর্কিত এএসআই আব্দুর রহিম ।
বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারী) বিকেলে এই জনসভায় বক্তব্যকালীন সময়ে কেউ কেউ বলেন, এই রহিমের খুটির জোর কোথায় ?
অদৃশ্য শক্তির কারণে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় এএসআই আব্দুর রহিম সাড়ে তিনবছর ধরে বহাল রয়েছেন।
এসময় থানায় অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারা বদলী হলেও তিনি দীর্ঘসময় কিভাবে এ থানায় রয়েছেন তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। এ নিয়ে তাকে দুবার বদলীর আদেশ দেওয়া হলেও তিনি অদৃশ্য শক্তির কারণে বারবার এ থানায় রয়ে গেছেন এমনটাই মনে করছেন অনেকেই।
এর আগে এএসআই আব্দুর রহিমকে গত ৮ অক্টোবর ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি অফিস থেকে জনস্বার্থে তাকে মানিকগঞ্জ জেলায় বদলি করা হয়। যার অফিস আদেশ নং-১০২৩।
পরবর্তীতে গত ৯ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে এক আদেশর মাধ্যমে তাকে মানিকগঞ্জ থানায় বদলী আদেশ দেওয়া হয় যার স্মারক নং- ৭৭৫৬।
এদিকে গত ২৫ অক্টোবর পুনরায় তাকে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশের মাধ্যমে গোপালদী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে বদলীর আদেশ দেওয়া হয় যার স্মারক নং-৮২০১/১(১৩)। অথচ বদলী আদেশের ৬ দিন পরও তিনি সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় এখনো কর্মরত রয়েছেন। জানা যায়, তিনি সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় থাকার জন্য বদলী ঠেকাতে উপরের মহলে নানা তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন ।
Discussion about this post