আড়াইহাজারে ময়লা পানি নিষ্কাশন সংক্রান্ত বিরোধের জেরে জোছনা বেগম নামের এক গৃহবধূর খুন্তির আঘাতে নিহত হাবিব (৫০) নামে বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার করে রোববার (৮ জানুয়ারী) ভোরে নারায়ণগঞ্জ জেণারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ ।
আড়াইহাজারের গহরদী এলাকায় শনিবার (৭ জানুয়ারী) জোহর নামজের পর এ ঘটনা ঘটেছে। নিহত হাবিব মিয়া গহরদী এলাকার মৃত হাকিম মিয়ার ছেলে।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সেলিনা বেগম রাতে আড়াইহাজার থানায় একটি মামলা করেছেন।
মামলায় আসামিরা হলেন-আড়াইহাজারের গহরদী এলাকার হান্নান মিয়া কাজী, তার স্ত্রী জোছনা বেগম, তাদের বড় ছেলে সোহাগ ও ছোট ছেলে মো. সুমন।
মামলার অভিযোগে সেলিনা বেগম বলেন, আমার স্বামী হাবিব মিয়ার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে তার বাড়ির সীমানা নিয়ে নাম উল্লেখিত আসামিদের ঝগড়া চলছিল। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার দুপুরে আমাদের বাড়ির ময়লা পানি নিষ্কাশন নিয়ে আমার স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া শুরু করে। এক পর্যায়ে হান্নান মিয়া আমার স্বামীকে হত্যার উদ্দেশ্য এলোপাথাড়ি মারধর করতে থাকে। মারধরের এক পর্যায়ের জোছনা বেগম লোহার বড় চামচ দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে।
তিনি আরও বলেন, আঘাতের পর পরই আমার স্বামী অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে সবাই মিলে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এর আগেও আমার আগের স্বামী বাতেন মিয়াকে আসামীরা মারধর করে হত্যা করেছিল। পরে এ বিষয়ে আসামিরা আমাদের সঙ্গে আপোষ করেন। আমার আগের স্বামী বাতেন মিয়া মারা যাওয়ার পর তার ছোট ভাই হাবিব মিয়ার কাছে আমার বিয়ে হয়।
এ ঘটনায় স্থানীয় ইউপি সদস্য গহরদী শিকারবাড়ী এলাকার আঃ খালেকের পুত্র মোঃ ফারুক মেম্বার, বলেন, কোন ধরণের মারামারির ঘটনা ঘটে নাই । তর্ক বিকর্ত হয়েছে । পাশের বাড়ির লোকজনের সাথে । হেরপর হাবিব (৫০) স্ট্রোক করে মারা গেছে । তার শরীরে তো কোন আঘাতের চিহ্ন নাই । আমাদের সামনেই তো সুরৎহাল রিপোর্ট করছে পুলিশ।
এ বিষয়ে আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হাওলাদার নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট কে বলেন, নিহতের মাথার পিছনে খুন্তি দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে । এমন হত্যাকান্ডের পর ফারুক মেম্বারসহ স্থানীয় কয়েকজন এই হত্যাকান্ডকে ধামাচাপা দিতে সালিশী চেষ্টা চালায় । পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে । এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে । আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলমান।
Discussion about this post