“বন্দরে সন্ত্রাস ছিল না। পুনরায় বন্দরে সন্ত্রাস বেড়ে উঠেছে। এমন কোনো মানুষ নাই যার কাছে চাঁদা দাবি করা হয় না। কোনো এক খান সাহেব এখানে লুটতরাজ চালাচ্ছেন। আমি কোনো দল বুঝি না, কোনো ভালোবাসা বুঝি না। ছোট ভাই বুঝি না, বড় ভাই বুঝি না, বাপ বুঝি না। আমি যদি জীবিত থাকি বন্দরের মানুষ গত বছর যেমন নিশ্চিন্তে ছিল এখনও নিশ্চিন্ত থাকবে।”
এভাবেই কঠোর সতর্কতা উচ্চারণ করে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ-৫ (বন্দর -সদর) আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান বন্দরের চিহ্নিত অপরাধী কে ইংগিত করে কঠোর সমালোচনা করেছেন ।
শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বন্দর উপজেলার নবীগঞ্জে মহানগর জাতীয় পার্টির কার্যালয় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সেলিম ওসমান বলেন, নারায়ণগঞ্জের বন্দর হচ্ছে সবচেয়ে শান্তিপ্রিয় জায়গা। বন্দরে উন্নয়নের কোনো শেষ নাই। লাঙ্গলবন্দ স্লান হবে পর্যটন কেন্দ্র। অনেক জায়গায় হয়ে যায় আমাদের হয় না। কারণ আমরা টানাটানি করি। আমরা একত্রে কাজ করতে পারি না। বন্দরের মানুষের কোনো দলমত দেখা যাবে না। যে যেই দল করেন না কেন প্রত্যেকের কাছেই আমার অনুরোধ রইলো বন্দরের উন্নয়নের জন্য একত্রিত হয়ে কাজ করেন।
তিনি আরও বলেন, ওসমান পরিবারের হাতের পাঁচটা আঙুল সমান নয়। সুতরাং আমার নারায়ণগঞ্জে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে এমন কোনো কাজ যদি কেউ করতে আসে তাহলে জীবন গেলে যাবে তাদের অস্তিত্ব থাকবে না।
নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও বন্দর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ সানুর সভাপতিত্বে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি মোদাচ্ছেরুল হক দুলাল, সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।
সেলিম ওসমান কঠোর সতর্কতা উচ্চারণ করে আরো বলেন, কোনো অভিযোগ যদি থাকে অনুরোধ রাখলাম আমার চেয়ারম্যানদের কাছে, কাউন্সিলর সাহেবদের কাছে, আমার কাছে অভিযোগ যেন যায়। পুলিশ প্রশাসন আপনাদের সহযোগিতা করতে আসছে, তাদেরক সহযোগিতা করতে আসে নাই। কোনো রকমের সন্ত্রাস অন্তত বন্দরে থাকবে না।
Discussion about this post