‘নগর যেন সকাল থেকে পরিচ্ছন্ন থাকে। এর জন্য ডিসি এসপি প্রশাসন ও কাউন্সিলরদের সহযোগিতা চাই। সিটি কর্পোরেশন ও জেলা প্রশাসন দূরত্ব রাখার জন্য এক প্রভাবশালীর অধিনস্থ সাংবাদিকরা পত্রিকায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে নিউজ প্রকাশ করে। যেগুলো আমি বলি না, সেগুলোকে হাইলাইট করে ২০/২৩টা পত্রিকা ছাপা হচ্ছে। এগুলো নিয়ে আপনারা সতর্ক থাকবেন।’
এভাবেই নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের উন্নয়নের লক্ষ্যে বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মিলনায়তনে নগর উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে মন্তব্য করেছেন মেয়র ডাক্তার সেলিনা হায়াৎ আইভী ।
তিনি বলেন, ডিসি, এসপি, র্যাব পুলিশ প্রশাসন ও সিটি কর্পোরেশন সমন্বয়ে সম্মিলিতভাবে কাজ করলে নগরে সকল কিছুর উন্নয়ন সম্ভব। ফুটপাত উচ্ছেদ, অবৈধ ট্রাক স্ট্যান্ড, অবৈধ ডায়াগনস্টিক সেন্টার, অটোরিক্সা নিয়ম মেনে অভিযান চালাতে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ও গলিগুলো তুলনামূলক সরু অবস্থা রয়েছে। ওখানে মাঝে মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ীও যেতে সমস্যা পড়তে হয়।
তিনি আরো বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ ও বন্দর অঞ্চলের প্রধান প্রধান সড়ক সহ গলিগুলোর সড়ক অনেক বড় বড়। শহরের জায়গা অল্প, কোন গরীব মানুষকে উচ্ছেদ করে রাস্তা বড় করা সম্ভব নয়। সরকার যদি অধিগ্রহণ করে সড়ক বড় করা সম্ভব। অটো রিক্সা পুরোভাবে বন্ধ করা যাবে না। দুই সিটি এলাকায় ইতিমধ্যে অটোরিক্সা নিয়ম মেনে অনুমতি দিয়েছে। আমরাও সেই নিয়মে দেখতে পারি।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শহিদুল ইসলামের সঞ্চালয়নায় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার উপ-পরিচালক (উপ-সচিব) আনোয়ার হোসেন, র্যাব-১১ কমান্ডিং অফিসার লে. কর্ণেল তানভীর মাহমুদ পাশা, সিভিল সার্জন ডা. এ এফ এম মুশিউর রহমান, জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোঃ আমির খসরু, প্যানেল মেয়র-১ আব্দুর করিম বাবু, কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্না, কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান মনির, কাউন্সিলর আবুল কাউসার আশা, কাউন্সিলর অহিদুল ইসলাম ছক্কু, মোখলেছুর রহমান, মনোয়ার বেগম, তিতাস গ্যাসের ম্যানেজার প্রকৌশলী ইমরান, শিক্ষা প্রকৌশলী নির্বাহী কর্মকর্তা সম্পা সাহা প্রমুখ।
রাজনীতি পরিস্থিতি নিয়ে মেয়র আইভী বলেন, ৬৪টি জেলায় প্রতিযোগিতা হয় এই নারায়ণগঞ্জেও সেই প্রতিযোগিতা থাকবে। এভাবে সকলকে নিয়ে নগর উন্নয়ন করতে হবে। দলের উন্নয়নের কথা বলব, দলের কথা বলব, আমি উন্নয়ন করে যাবো। আমরা সবাই যদি সমাধান না করি তাহলে জনগণ কোথায় যাবে ? তারা আমাদের ভোট দিয়ে এই চেয়ারে বসিয়েছে।
জেলা প্রশাসকের উদ্দেশ্যে আইভী বলেন, সিটি কর্পোরেশনের মতামত ছাড়া কোন নতুন বাস অনুমতি দিতে পারে না প্রশাসন। বর্তমানে দেখা গেছে, ৫০টি অনুমতি আনা হলে ১৫০টি বাস চালায়। ডিসি পারেন নারায়ণগঞ্জের সকলকে একত্রে নিয়ে বসতে। তিনি তো সরকারের একজন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা।
পুলিশের উদ্দেশ্যে মেয়র বলেন, জেলার সাবেক এসপি হারুনের (বর্তমান ডিবি প্রধান) আমলে ফুটপাত, অটোরিক্সা, যানজট ও ট্রাকস্ট্যান্ড নিয়ম মেনে চলেছিলো। এখন কেনো সম্ভব হচ্ছে না? ফুটপাত দিয়ে সাধারণ মানুষ সুন্দরভাবে চলাচল করেছে। জেলা পুলিশের তো রেকার রয়েছে। আমাদের সিটি কর্পোরেশনের রেকার নেই। সে কারণে ট্রাফিক পুলিশের রেকার রাস্তা বুঝে কাজ করলে যানজট শহরে থাকে না। ট্রাফিক তো আপনাদের অধিনে, এমপি সেলিম ওসমান আপনাদের অনেক কিছু করেছে। উচ্ছেদে সময় আমাদের কোন ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশ থাকে না। ইদানিং চুরি ছিনতাই বেড়ে গেছে। কয়েক মাস আগে ১২নং ওয়ার্ডে বিদেশী মেহমানের মোবাইল চুরি হয়। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে সেই মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছিলো, এমন ঘটনা আমাদের লজ্জা পড়তে হয়েছে।
Discussion about this post