নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার গোগনগরে বৃদ্ধাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার সাথে সাথেই স্থানীয় গোগনগর ইউনিয়ন পরিষেদের চেয়ারম্যান ফজর আলী ছুটে আসেন সদর মডেল থানায় । সন্ধ্যার পর থেকে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিচুর রহমানের কক্ষে একান্তে আলোচনা করেন এই হত্যাকান্ড নিয়ে ।
বৃদ্ধার এমন হত্যাকান্ডের পর দ্রুত স্থানীয় চেয়ারম্যান ফজর আলী থানার ওসির সাথে আলোচনার দৃশ্য দেখে উপস্থিত অনেকেই নানা আপত্তিকর মন্তব্য করেন। অনকেই বলেছেন, হত্যাকান্ডের ঘটনায় মামলা রুজু হওয়ার আগেই এই বৃদ্ধার মৃত্যুকে নিয়ে নতুন নাটক করতে যাচ্ছে ফজর আলী ।
জানা যায়, প্রতিবেশীদের পিটুনিতে জায়েদা (৬০) নামে এক বৃদ্ধা নারী নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে গোগনগর ইউনিয়নের মসিনাবন্দ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জায়েদা গোপচর এলাকার মামুন মন্ডলের স্ত্রী ।
নিহতের স্বামী মামুন মন্ডল বলেন, প্রতিবেশী সেকুল গত কয়েকদিন ধরে আমাদের বাসার ছাদে গাছ কেটে ফেলে রাখছিল। তাদের গাছ পড়ে একটি পাইপও ফেটে গেছে। তারা বলেছিল গাছ নিয়ে যাবে এবং পাইপ ঠিক করে দেবে। কিন্তু দুই তিন দিন হয়ে গেলেও তারা ছাদে রাখা গাছগুলো সরিয়ে নিচ্ছিল না এবং ঠিক করে দিচ্ছিল না।
তিনি আরো বলেন, বিকেলে আমি বাসার ভেতরে ছিলাম। এসময় আমার স্ত্রী বাসার বাইরে গিয়ে তাদের বলছিল কেন গাছগুলো সরাচ্ছে না। এনিয়ে তর্ক বিতর্কের জের ধরে তারা আমার স্ত্রীর ওপর হামলা করে। আমি দৌড়ে গিয়ে তাদের বাধা দিলে আমার ওপরও হামলা করে। এসময় আমার স্ত্রী মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে অন্যদের সহযোগিতায় দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের ছেলে রাসেল বলেন, প্রতিবেশী সেকুল, জুম্মান, রানা, শিল্পী ও সুমনসহ আরও কয়েকজন আমার মায়ের ওপর হামলা করে। তারা সকলে মিলে আমার মাকে মেরে ফেলেছে। গাছ নিয়ে কথা বলতে গেলে তারা আমার মায়ের ওপর হামলা করে। আমি এর বিচার চাই।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হাফিজুর রহমান বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর বিস্তারিত বলতে পারবো। মরদেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
চেয়ারম্যান ফজর আলীর এমন দৌড়ঝাপের বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিচুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় কোন মন্তব্য পাওয়া যায় নাই।
Discussion about this post