বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দিনব্যাপী যানবাহনের চাপ না থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
শনিবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে সরেজমিনে ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। এদিকে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬ পর্যন্ত প্রায় ১২ ঘণ্টা পর মহাসড়ক থেকে সকল চেকপোস্ট সরিয়ে নিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে।
এদিকে যান চলাচল স্বাভাবিক হওয়ায় স্বাচ্ছন্দ্যে নিজেদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে পারছে কর্মজীবী মানুষজন।
গত ৭ নভেম্বর থেকেই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহনগুলোতে ও যাত্রীদের তল্লাশি করে আসছে পুলিশ।
গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত দূরপাল্লার বাস চললেও আজ শনিবার বন্ধ রাখা হয়েছে। যার ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। অনেক কর্মজীবী মানুষ তাদের অফিসে যেতে পারেননি। কেউ বা আবার বেশি ভাড়ায় ছোটখাটো পরিবহনে চলাচল করেছেন। তবে তাদের মূল ভরসা ছিল অটোরিকশা।
বেসরকারি একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা অন্যের প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি। একটু থেকে একটু কিছু হলে চাকরি হারানোর সম্ভাবনা থাকে। আমার অফিস টাইম ছিল ৮টায়, সেখানে ৯টা ৩০ মিনিটে পৌঁছেছিলাম। কাজ শেষ করে আসার সময় গাড়ি পাওয়া গেছে।’
এ বিষয়ে কাঁচপুর হাইওয়ে থানার শিমরাইল ক্যাম্পের টিআই একেএম শরফুদ্দীন বলেন, সড়কে কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা যাতে না হয় তাই চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। যানবাহন চলাচলে আমরা কোনো বাধা দিইনি। যানচলাচল এখন স্বাভাবিক রয়েছে।’
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মশিউর রহমান পিপিএম বার বলেন, ‘সকাল থেকেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তল্লাশি চালিয়ে ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। তবে আজ যাত্রী ও যানবাহনের চাপ ছিল। সন্ধ্যার দিকে যানবাহন ও যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। আমরা মহাসড়ক থেকে সকল চেকপোস্ট ও পুলিশ সরিয়ে নিয়েছি।’
Discussion about this post