রূপগঞ্জে সালিশী বৈঠকে প্রকাশ্যে ছুড়িকাঘাতে এসএসসি পরীক্ষার্থী জিহাদকে( ১৭) হত্যার চেষ্টা চালিয়ে প্রতিপক্ষের লোকজন। এসময় তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তার বড় ভাই সফিউল্যাহকে আহত করেন হামলাকারীরা। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত পাচজনকে আটক করেছে। বুধবার রাতে উপজেলার ভোলাবো ইউনিয়নের পূবেরগাঁও গ্রামে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী জানায়, দুই মাস আগে পূবের গাঁও এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে এসএসসি পরীক্ষার্থী জিহাদের সাথে পার্শ্ববর্তী আঙ্গারজোড়া এলাকার মোশারফের ছেলে শিশিরে ঝগড়া হয়। এ ঘটনাটি মিমাংসার জন্য বুধবার রাতে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার মাঠে সালিশীর আয়োজন করেন ইউপি সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান বাচ্চু। সালিশী চলাকালে হঠাৎ শিশির ও তার চাচা সোহাগ ধারালো ক্ষুর এবং ছোড়া দিয়ে আঘাত করে জিহাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম করে। তাকে বাচাঁতে রক্ষা করতে গিয়ে হামলার শিকার হয় শিক্ষার্থীর বড় ভাই সফিউল্যাহ। পরে বৈঠকে উপস্থিত লোকজন হামলাকারী শিশির, সোহাগ, মোশারফ, সফিউল্যাহ ও আলামিনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। আহতদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে জিহাদের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানায় তার স্বজনেরা।
এব্যাপারে ভোলাবো ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন টিটু বলেন, বাউল গানের অনুষ্ঠানে দুই পক্ষের মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল। সেটা সমাধানের জন্য স্থানীয় ইউপি সদস্য সালিশ বসান। বিষয়টি সমাধানের শেষ মুহুর্তে একপক্ষ আরেকপক্ষের উপর হামলা করেছে। এটা খুবই ন্যাক্কারজনক। আমি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এ ঘটনায় জড়িত যারা তাদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবী করছি।
এব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার ওসি( তদন্ত) হুমায়ুন কবির মোল্লা বলেন, এ ঘটনায় জিহাদের মামা মনসুর মোল্লা বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের আটকের চেষ্টা চলছে।
Discussion about this post