‘দিপু আমার সঙ্গে বেইমানি করেছে’ ডায়েরিতে এমন চিরকুট লিখে আঁখি আক্তার নামে অনার্স প্রথমবর্ষের এক ছাত্রী ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
রোববার (২৩ অক্টোবর) রাতে ফতুল্লার পাগলা মধ্য রসুলপুর এলাকায় মনিরের ভাড়াটিয়া বাসা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় সোমবার সকালে নিহতের বড়ভাই হালিম বাদী হয়ে প্রতারক প্রেমিক নূর মোহাম্মদ দিপুর (৩২) বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে মামলা করেছেন।
আঁখি আক্তার লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা থানার পশ্চিম ফকিরপাড়ার মো. আমিনুল ইসলামের মেয়ে। তারা সপরিবারে ফতুল্লার পাগলা মধ্যরসুলপুরের মনিরের বাসায় ভাড়ায় বসবাস করেন।
নূর মোহাম্মদ দিপু ফতুল্লার মধ্য রসুলপুর এলাকার বাবুল শেখের বাড়ির ভাড়াটিয়া মো. হাফেজের ছেলে।
নিহতের বড়ভাই হালিম জানান, আঁখি আক্তার রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় অবস্থিত ডিআইইউ ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। দুই বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে আঁখি মেজো। ৪ বছর আগে একই এলাকার নূর মোহাম্মদ দিপুর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে আঁখির। সেই সম্পর্কে তাদের মধ্য শারীরিক সম্পর্ক হয়।
তিনি জানান, ২০-২৫ দিন পূর্বে দিপুর পরিবারের সঙ্গে আঁখির বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে গেলে উভয় পরিবারের সম্মতিতে ১৭ নভেম্বর বিয়ের দিন ধার্য হয়। এর মধ্যে গোপনে ২১ অক্টোবর দিপু অন্যত্র বিয়ে করেন। এতে আঁখি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। গত শনিবার দিপুর সঙ্গে আঁখি দেখা করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। রোববার বিকালে ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে আঁখি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার এসআই গোলাম মোস্তফা জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে আঁখি আত্মহত্যা করেছে। লাশ উদ্ধারের সময় তার পাশ থেকে একটি ডায়েরি পাওয়া গেছে। মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে সেই ডায়েরিতে কিছু লেখা পেয়েছি। এক জায়গায় লেখা আছে- ‘দিপু আমার সঙ্গে বেইমানি করেছে’। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
তিনি জানান, দিপু কাঁচপুর এলাকায় কনকা টিভি ও ফ্রিজ তৈরি কারখানায় কর্মরত আছেন বলে জানা গেছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
Discussion about this post