শহীদুল্লাহ্ রাসেল
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলী ইউনিয়নের চর বক্তাবলী এলাকার জীবিত জাকির হোসেন লাশ হয়ে বাড়িতে ফিরলো।
পুলিশের গাফলতিতে জাকির হোসেন কে লাশ হতে হলো বলে অভিযোগ করেছেন নিহতের পরিবার।
নিখোজ থাকার ১ মাস ৪ দিন পর বন্দর থানার কলাগাছিয়া নৌ ফাঁড়ি পুলিশ কলাগাছিয়ায় নদী হতে অর্ধগলিত হাত পা বাধাঁ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে প্রেরন করে।
ফতুল্লা মডেল থানায় জিডি
জাকির হোসেন নিখোজ হন গত ১৬ সেপ্টেম্বর। বাসায় ফেরত না আসায় তার স্ত্রী মোর্শেদা বেগম গত ১৯/৯/২০২২ ইং তারিখ ফতুল্লা মডেল থানায় জিডি নং-১৩৬৫ দায়ের করেন।
নিহত জাকির হোসেনের জামাতা জাকির হোসেন, নিহতের স্ত্রী মোর্শেদা বেগম মর্গের সামনে কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, পুলিশের গাফলতির কারনে আমার স্বামী খুন হলো। আমি ওসির সাথে দেখা করলে আমাকে খানকি, বেশ্যা বলে গালিগালাজ করে থানা হতে বের করে দেন।
তারা যদি সন্ধান করতো আমার স্বামী জীবিত ফেরত আসতো।
তারা আরো বলেন, চরবক্তাবলী এলাকার মৃত আব্দুর রশিদের পুত্র জাকির হোসেন (৫২) ফতুল্লা মডেল থানার এক পুলিশের ফোন পেয়ে বাসা থেকে বের হন বিকাল সাড়ে ৩ টায়।
বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুর রশিদের বক্তাবলী ফেরীঘাট সংলগ্ন অফিসে রাত ১০ টায় আনতে গেলে রশিদ মেম্বার তাকে ফেরত দেয়নি। এর পর হতে নিখোঁজ হন জাকির হোসেন।
যে ভাবে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ
লোক মুখে খবর পেয়ে (১৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় পুলিশ নদী হতে জাকির হোসেনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নারায়ণগঞ্জ জেনারেল ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে প্রেরন করে।
যে ভাবে লাশ সনাক্ত করে স্বজনরা
বিভিন্ন গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে নিহত জাকির হোসেনের বড় মেয়ে জাকিয়া সুলতানা জুথি পোশাকের বিবরন ও পুলিশের ভাষ্যমতে ২৪/২৫ দিন আগের লাশ। এটা দেখে আজ বৃহস্পতিবার সকালে নিহত জাকির হোসেনের স্ত্রী মোর্শেদা বেগম ও তার ছোট মেয়ে ভিক্টোরিয়া হাসপাতালের মর্গে গিয়ে পরনের পোশাক দেখে লাশ জাকির হোসেনের বলে সনাক্ত করেন।
এলাকায় শোকের ছায়া
নিহত জাকির ছিলেন অত্যন্ত সহজ সরল ও মিশুক প্রকৃতির সাধারণ মানুষ হিসেবে এলাকায় পরিচিত। জীবদ্দশায় কারো সাথে ঝগড়া করেছে এমন রেকর্ড নেই।
সোহরাব হোসেন,খবির উদ্দিন গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, তার মতো এত সহজ সরল ও ভাল মানুষ পাওয়া বিরল। জাকির হোসেনের মতো লোককে একমাত্র জানোয়াররাই খুন করতে পারে। তার মৃত্যুতে আমরা শোকাহত।খুনীদের খুঁজে বের করতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহবান জানান এলাকার অনেকেই।
মামলার প্রস্তুতি চলছে
এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত লাশের পোষ্ট মর্টেম হয়নি। তবে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান নিহতের জামাতা জাকির হোসেন।
বন্দরের ওসি যা বললেন
বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ এবি সিদ্দিক জানান, যেহেতু লাশ পচে গলে গেছে। চেহারা দেখে চেনার উপায় নেই। যারা লাশ দাবী করছেন তাদের সাথে ডিএনএ টেস্ট করা হবে।যেহেতু লাশের হাত পা বাঁধা ছিল। এটি হত্যা মামলা হবে।
Discussion about this post