দায়িত্বরত ইন্সপেক্টর আসাদুজ্জামান বলেন, এই কিশোরীকে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে অপহরণ করে ধর্ষনের অভিযোগে ১৮ সেপ্টেম্বর (রোববার) নারায়ণগঞ্জ আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নূরুন নাহার ইয়াসমীন আসামী মনির হোসেন কে ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
রূপগঞ্জে একটি কারখানার ১৩ বছর বয়সী শ্রমিককে নেশাজাত দ্রব্য খাইয়ে ধর্ষণের ঘটনায় মনির হোসেন (৫০) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) তাকে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সোনারগাঁও থানার বারগাঁও এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ। এ ঘটনায় কারখানা শ্রমিকের বাবা বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
গ্রেফতার মনির হোসেন সোনারগাঁও থানার বারগাঁও এলাকার আব্দুল মান্নানের ছেলে।
কারখানা শ্রমিকের বাবা মামলার এজাহার উল্লেখ করে জানান, তার মেয়ে যাত্রামুড়া এলাকায় স্থানীয় একটি স্পিনিং মিলে করেন। গত ১১ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১০ টার দিকে তার মেয়ে কারখানায় কাজ শেষে বাড়ি ফিরতে গাড়ির জন্য রাস্তায় অপেক্ষা করছিল। এসময় মনির হোসেন জোর করে তার মেয়েকে নেশাজাত দ্রব্য খাইয়ে অজ্ঞাত কোন এক স্থানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে তার মেয়েকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
এমন ঘটনায় সোনারগাঁ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আহসান উল্লাহ নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট কে বলেন, ঘটনাটি মূলতঃ ১১ সেপ্টেম্বর (রবিবার) রাতে । এরপর এই ভিকটিমের পরিবার সোনারগাঁ থানায় আসেন ১৫ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে । ভিকটিম ও তার পরিবার আসামীর নাম ও ঠিকানা কিছুই বলতে পারেন নাই। ঘটনাটি অত্যান্ত স্পর্শকারত হওয়ায় আমরা সোনারগাঁ থানা পুলিশ বিষয়টি আমলে নিয়ে অভিযোগ গ্রহণ করে সোনারগাঁ থানার তালতলা ফাঁড়ির ইনচার্জ রাজু, রূপগঞ্জ থানার দারোগা মিরাজসহ পুলিশের একটি দল এবং স্থানীয় লোকজনদের সাথে নিয়ে আসামী শনাক্ত করতে সাড়াসী অভিযান শুরু করি । গভীর রাতে আসামীর বাসার সন্ধান পেয়ে এই আসামীকে গ্রেফতার করলে সে স্বীকার করে তার অপরাধের কথা। যেহেতেু ঘটনাটি রূপগঞ্জ থানায় সেহেতু আমার আসামী ও ভিকটিম সোনারগাঁ থানায় হস্তান্তর করি।
এমন ঘটানয় রূপগঞ্জ থানার দারোগা (এসআই) মিরাজ নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট কে বলেন, ভুক্তভোগী মেয়েটি কিছু বলতে পারছিলো না। তাকে প্রথমে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়, পরে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থা দেখে ঢাকা মেডিকেলে রেফার্ড করে। কিন্তু আমরা ভিকটিম থেকে এখনো কোন মৌখিক বক্তব্য নিতে পারি নাই। আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে পাঠানো হয়েছে ।
Discussion about this post