নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলা নুরপুর চন্দ্রার বাড়ী এলাকায় সম্পত্তি লিখে না দেওয়াতে পিতার কান কুপিয়ে বিচ্ছিন্ন করেছে স্কুল শিক্ষকের পুত্র রাসেল ।
এই বিষয়ে আহত পিতা নিজ পুত্রের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
আহত খালেক জানান, আমার স্ত্রী, ছেলেসহ আমার শ্যালক দীর্ঘ দিন যাবত আমার সম্পদ তাদেরকে লিখে দিতে আমাকে চাপ প্রয়োগ করে আসছে। এ কারনে স্ত্রী সন্ত্রান মিলে আমাকে বাড়ি হতে বের করে দেয়। প্রায় ৭ মাস যাবৎ আমি আমার বাড়ির সামনে মুদি দোকানে বাস করছি। বিভিন্ন সময় আমার সন্ত্রান লোকজন নিয়ে আমাকে মারপিট করতো । এ ব্যাপারে আমি বন্দর থানায় একাধিক জিডিও করেছি।
এলাকার লোকজনও বিচার শালিশ করেছে কিন্তু, তারা কার কথা শুনে না।
এরই ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার রাতে জোরপূর্বক আমার পুত্র আমাকে দোকান থেকে তুলে নিয়ে যায় সম্পত্তি লিখে দেওয়ার জন্য। এক পর্যায়ে আমি সম্পত্তি লিখে দিতে অপরগতা প্রকাশ করায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে রাসেল আমাকে হত্যার উদ্দেশ্য কোপ দিলে আমার বাম কান বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এসময় আমাকে বাচাতে আমার বড় ভাই আবুল কাশেম এগিয়ে এলে রাসেল তাকেও কিল-ঘুষি মেরে গুরুতর আহত করে।
অভিযুক্ত রাসেল বন্দর সামছুজ্জোহা এম বি হাই স্কুলের ইংরেজি শিক্ষক।
এ ঘটনায় আহত আবদুল খালেক বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ্য করে বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্তরা হলেন- বন্দর ইউনিয়নের নুরপুর এলাকার আবদুল খালেকের ছেলে মো. রাসেল, মোসেদা বেগম, আক্তার, রাজিয়া, আসমা। ঘটনাটি এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। এলাকাবাসী পুত্র রাসেলের শাস্তি দাবী করেছে প্রশাসনের কাছে ।
Discussion about this post