বিএনপির প্রতিষ্ঠা বাষিকী (পহেলা সেপ্টেম্বর) নেতাকর্মীদের সাথে নারায়ণগঞ্জ শহরের বঙ্গবন্দু সড়কের ডায়মন্ড হল চত্তরে রণক্সেত্রের ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলায় রিমান্ডে থাকা বিএনপির তিন কর্মী দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শামসাদ বেগমের আদালতে বিএনপির কর্মী মো. রাজীব ও আবুল কালাম এবং জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোনালিসা সানির আদালতে আরেক কর্মী আবদুস সাত্তার ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আমীর খসরু বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। তবে বিএনপির ওই তিন কর্মী আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে কী বলেছেন, তা জানা যায়নি।
এদিকে মামলার অপর সাত আসামিকে এক দিনের রিমান্ড শেষে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান মোল্লার আদালতে হাজির করা হলে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
জবানবন্দি দেওয়া আসামিরা হলেন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার মধ্যনরসিংহপুর এলাকার আবদুল জলিলের ছেলে আবদুস সাত্তার (২২), রূপগঞ্জ উপজেলার সিংলাবো এলাকার হারুন অর রশিদের ছেলে রাজীব (৩৮) ও আড়াইহাজার উপজেলার রাম চন্দ্রদী এলাকার মৃত রমিজ উদ্দিনের ছেলে আবুল কালাম (৪৮)।
এর আগে পুলিশের ওপর হামলা, সরকারি কাজে বাধা, ভাঙচুর ও ককটেল নিক্ষেপের ঘটনায় পুলিশের মামলায় গ্রেপ্তার বিএনপির ১০ নেতা-কর্মীকে এক দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গতকাল বুধবার নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা–পুলিশ তাঁদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেয়।
রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো অপর সাত আসামি হলেন মজিবুর রহমান (৫২), রঞ্জন কুমার দেবনাথ (৩৬), মো. জনি (৩৮), রিমন (২২), ইমন (১৮), মো. বাদল (৩৩) ও মো. সোহান (১৫)।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমীর খসরু একটি সংবাদ মাধ্যমকে আরো বলেন, তিন আসামি আদালতে দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দি শেষে আদালত তাঁদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ১ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জে বিএনপি ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে যুবদল কর্মী শাওন প্রধানের মৃত্যু হয়। বিএনপি তাঁকে যুবদলের কর্মী বলে দাবি করে। বিএনপির মিছিলে অংশ নেওয়া শাওনের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। অন্যদিকে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগ শাওনকে যুবলীগের কর্মী দাবি করে মিছিল করে। শাওন মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ শাওনের বড় ভাই মিলন হোসেনকে দিয়ে বিএনপির পাঁচ হাজার নেতা–কর্মীসহ অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করে। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে জেলা বিএনপির ৭১ নেতা–কর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৭০০ থেকে ৮০০ নেতা–কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
Discussion about this post