অনেক কিছুর মতো দাম বেড়েছে ফলেরও। সরেজমিনে নগরীর ফলের বাজার ঘুরে দেখা গেলো, পাইকারি দাম খুব একটা না বাড়লেও খুচরা ব্যবসায়ীরা দাম হাঁকছেন ইচ্ছেমতো। এমনকি কোনও ফল বিক্রি হচ্ছে দ্বিগুণেরও বেশি দামে।
বাজার ঘুরে দেখা গেলো, আম, আপেল, কমলা, মালটা, নাশপতি, আনারস, আঙ্গুরের খুচরা দামের সঙ্গে পাইকারি দামের দারুণ ফারাক।
ফলের আড়তদার মো. আশরাফুল বলেন, পাইকারি বাজারে ফলের দাম স্বাভাবিক। খুচরা বাজারে অস্বাভাবিক মূল্যেই বিক্রি হয়। যেমন আজোয়া খেজুর এক বাক্সে পাঁচ কেজি থাকে। এর পাইকারি দাম এখন ১৭০০-১৮০০ টাকা। প্রতি কেজি ৩৫০ টাকার মতো। কিন্তু খুচরা বাজারে এটা বিক্রি হচ্ছে তিন গুণেরও বেশি দামে।
আরেক আড়তদার ফজলু বলেন, আমরা শুধু আম বিক্রি করি। বেশিরভাগ আম রাজশাহী থেকে আনা হয়। ল্যাংড়া-ফজলি এখন স্টকে নেই। দুই-তিন জাতের আম পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যে আশ্বিনিটা বেশি বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বিক্রেতারা এটাকে খুশিমতো নাম দিয়ে বিক্রি করছে। আমরা এ আম ৬৫-৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি করলেও খুচরা বাজারে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ।
এদিকে খুচরা ফল ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিন বলেন, আমরা কেনা দামের চেয়ে ১০-২০ টাকা বেশি লাভে বিক্রি করি। এছাড়া, পরিবহন ভাড়া, দোকান ভাড়া, বিদ্যুৎ এসব খরচ আছে। সিজনে যে আম ৮০-৯০ টাকা বিক্রি করেছি তার দাম এখন ডাবল হওয়ারই কথা। আর এমনিতে এখন তো সবকিছুর খরচও বেড়েছে।
ইমরান হোসেন নামের এক ক্রেতা জানালেন, ফল তো দূরের কথা, সংসারের জন্য সবজি কিনতেই হিমশিম খাচ্ছি। তবু বাচ্চাদের কথা ভেবে কিনতে হয়। বিক্রেতাদের তো লস নেই। ভোগান্তিতে পড়তে হয় ক্রেতাদের।
নগরীর কালীরবাজার পাইকারী আড়ৎদারদের অনেকেই জানালেন ভিন্ন কথা। তিনি জানান, ফলের আড়তদারদের আগের অবস্থা নেই। লাখ লাখ টাকার লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের। অনেকে ব্যবসা গুটিয়ে ফেলেছেন। পাইকারি বিক্রেতারা সমস্যায় থাকলেও খুচরা বিক্রেতারা সমস্যায় নেই। তারা অল্প দামে কিনেও বেশি দামে বিক্রি করে। দাম বৃদ্ধির কারণে যে ব্যবসায়ী এক কন্টেইনার মাল কিনতেন তিনি এখন অর্ধেকও নিচ্ছেন না।
Discussion about this post