“পাপ কখনো বাপ কেও ছাড়ে না !” এমন মন্তব্য নগরবোসীর মুখে উচ্চারিত হচ্ছে । বিএনপি সরকারের শাসনামনে অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানী। গুলি করে পাখির মতো মানুষকে হতাহত করাসহ এমন কোন অপরাধ নাই যা সংঘঠিত হতো না এই বদিউজ্জামান বদুর হাত ধরে । নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর রেললাইনের দক্ষিনে বদু – জাকির অপরদিকে উত্তরে ডেবিড -জুয়েল ।
এই দুই গ্রুপের এক আশ্চর্য মিল হচ্ছে তাদের উত্তর ও দক্ষিন মেরুর দুই বোন নগরীর দন্ডমূর্তের কর্তা ছিলেন।
নগরীর উত্তরের ত্রাস ডেবিড ক্রসফায়ারে মারা গেলেও জুয়েল এখন কারাগারের গুরুতর অসুস্থ্য। অপরদিকে দক্ষিনে জাকির খান নানা কারণে দেশ থেকে পালিয়ে বেড়ালেও বদু শাসক দলের নেতাদেরর সাথে আঁতাত করে নানা অপরাধ কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। রেল লাইনের দোকান বাণিজ্য করে এই বদিউজ্জামান বদু বীরের বেশে নগরী দাপড়িয়ে বেড়াতো। শাসক দলের নেতাদের নেপথ্যে শেল্টারে থেকে নানা অপরাধ করতে করতে অপরাধের সিদ্ধ হস্ত বদিউজ্জামান বদু ছোট ভাইয়ের দায়ের করা চাঁদাবাজি – নারী ও শিশু নির্যাতনসহ মারধরের মামালায় গত বুধবার গ্রেফতার হয়ে নারায়ণগঞ্জ কারাগারে রয়েছেন আদালতের আদেশে।
অত্যান্ত চতুর বদু কারাগারের থাকলে এই মামলায় পালিয়ে রেড়াচ্ছেন অপর বড় ভাই আফজাল হোসেন, বদুর স্ত্রী রাবেয়া খাতুন ।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, পৈতিক রেখে যাওয়া সম্পত্তি সকলের উদ্দেশ্যে ধীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধর জের ধরে বদু স্ত্রীকে মারধর ও নির্যাতন ছাড়াও সূবর্ণ আক্তারের জামা কাপড় খুলে স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানী করার চেষ্টার চালানোর অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আদালতে পাঠানো হলে জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
জানা গেছে, শহরের দেওভোগ এলাকার বিএনপির আলোচিত জুটি ছিল জাকির খান ও বদিউজ্জামান বদু। জাকির খান নেতৃত্ব দিতেন জেলা ছাত্রদলের। ছিলেন জেলা ছাত্রদলের সভাপতি। অপরদিকে বদু ছিলেন যুবদলের। তিনি জেলা যুবদলের য্গ্মু আহবায়ক ছিলেন। তবে তারা দু’জন ছাত্রদল ও যুবদলের নেতৃত্ব দিলেও তারাই মূলত ছিলেন দেওভোগ এলাকার বিএনপির প্রাণ। বিগত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে দলীয় প্রভাবে বদু বনে যান হোসিয়ারী এসোসিয়েশনের সভাপতি। এরপর থেকেই মূলত রাজনীতিতে তিনি অনেকটাই নিস্ক্রিয় হয়ে পড়েন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানান, নানা কারণেই পরিবারের লোকজনদের নির্যাতন করতেন তিনি। সম্প্রতি জুয়া খেলা নিয়ে পরিবারে অশান্তি সৃষ্টি করে। ওই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। ২৭ জুলাই রাতে তাকে শহরের দেওভোগের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে সদর মডেল থানা পুলিশ। পরে নারী নির্যাতন মামলায় তাকে ২৮ জুলাই আদালতে পাঠানো হয়। শুনানী শেষে বিচারক তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
এমন ঘটনা ছাড়াও একধিক সূত্র থেকে আরো জানা যায়, অত্যান্ত ধূরন্ধর বদিউজ্জামান বদুকে বুধবার রাতে গ্রেফতারের পর নারায়ণগঞ্জ সদর থানার নিয়ে আনা হলে নানা কৌশলে প্রথমে থানা থেকে মুক্তি পেতে কয়েক লাখ টাকা প্রস্তাবে ব্যর্থ হয়ে কোন সাংবাদিক যাতে গ্রেফতারের বিষয়টি আপাততঃ না জানেন সে লক্ষেও পুলিশের সাথে চুক্তি করে বদুর লোকজন । দামী গাড়ি হাকিয়ে থানার গেইটে অবস্থান করে কেউ কেউ পুলিশের সহায়তায় গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে অশোভন আচরণ করেন বুধবার রাতে। পরবর্তীতে বৃহস্পতিবার সকালে থানার ডিউটি অফিসার, কোর্ট পুলিশের জিআরও শাখার উপ পরিদর্শক বদু গ্রেফতারের বিষয়ে কোন তথ্য দিতেও অস্বীকার করেন ।
গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে এমন আচরণে ব্যাপক সমালোচনা রয়েছে নগরী জুড়ে ।
Discussion about this post