সোনারগাঁয়ের মোগরাপাড়া ইউনিয়নের পাঁচপীর দরগা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টিনশেড ভবন কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসারের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) মামলায় গ্রেফতারকৃত মেম্বার প্রার্থী আল মাহবুব ও তার ভাতিজা রাজুকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
বুধবার (১৫ জুন) রাতে প্রিজাইডিং অফিসার মো. ফখরুল ইসলাম বাদি হয়ে সোনারগাঁ থানায় ১৫ জনের নাম উল্লেখ্যসহ ৪-৫শ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেন।
জানা যায়, মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে ২হাজার ৯ শত ৬৪ ভোট রয়েছে। এ ভোটের মধ্যে একটি পুরুষ ও মহিলা কেন্দ্র রয়েছে। ভোট গননার সময় দুই হাজার তিন’শ ভোট কাস্ট হয়েছে বলে প্রিজাইডিং অফিসার জানিয়েছেন। ফলাফল দেওয়ার সময় মাত্র ১২শ ভোটের হিসাব দেখিয়ে প্রিজাইডিং অফিসার চলে আসতে চাইলে এ নিয়ে মেম্বার প্রার্থীদের সঙ্গে প্রিজাইডিং অফিসারের তর্কবিতর্ক হয়। এসময় মেম্বার প্রার্থীরা সকলেই একত্রিত হয়ে পুনরায় ভোট গণনার দাবি করেন।
এক পর্যায়ে মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকরা উত্তেজিত হয়ে প্রিজাইডিং অফিসার ফখরুল ইসলামকে মারধর করে। আহত প্রিজাইডিং অফিসারকে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। ফখরুল ইসলাম সোনারগাঁ উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন। বর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে ২৯ রাউন্ড গুলি ছোড়ে পুলিশ। এতে মেম্বার প্রার্থী প্রিজাইডিং অফিসার তাহের আলী, আল মাহবুব, রাজু, সগির মিয়া, আবুল কাশেমসহ ১০জন আহত হয়। আহতদের বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
মোগরাপাড়া ইউনিয়নের মেম্বার প্রার্থী তাহের আলীর দাবি, ভোট গণনার গরমিল থাকায় পুনরায় ভোট গণনার দাবি করলে তর্কবিতর্কের জের ধরে এ ঘটনা ঘটে। প্রিজাইডিং অফিসার ভুল তথ্য দিয়ে চলে যেতে চাইলে সকল মেম্বার প্রার্থী সমর্থরা উত্তেজিত হয়ে তাকে মারধর করে। সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রিজাইডিং অফিসারকে মারধরের ঘটনায় মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেফতার মেম্বারপ্রার্থীসহ ২ জনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযানে নামবে।এমই/জেসি
Discussion about this post