নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি ও মহানগর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহেদ আহমেদের বাড়ি ও এলাকায় সশস্ত্র মহড়া চালিয়েছে দূর্বৃত্তরা।
এসময় শাহেদকে না পেয়ে এলাকায় ৬ (ছয়) রাউন্ড ফাঁকা গুলিও ছোড়েন তারা।।
হামলাকারীরা স্থানীয় এক প্রভাবশালী সাংসদের অনুসারী (ঘনিষ্ঠ জন) বলে নগরীর খানপুরের অনেকেই বললেও কেউ নাম বলতে সাহস করে নাই ।
বুধবার (৮ জুন) রাত ৯ টা ৫৫ মিনিটের সময় শহরের খানপুর হাসপাতালের সামনে একদল সন্ত্রাসী অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে এই মহড়া চালায়।
এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, রাত আনুমানিক পৌনে দশটার দিকে একদল লোক খানপুর এলাকায় অবস্থান নেয়। এসময় তারা ছাত্রদল নেতা শাহেদকে খুঁজতে শুরু করে। এলাকায় না পেয়ে শাহেদের বাড়িতে গিয়েও খোঁজ খবর করতে থাকে তারা। এসময় শাহেদ বাড়িতে ছিলেন না। এরপর ঠিক ৯ টা ৫৫ মিনিটের সময় ৬ (ছয়) রাউন্ড ফাকা গুলি ছুড়ে ।
এদিকে শাহেদকে না পেয়ে এলাকায় বেশ কয়েক রাউন্ড ফাকা গুলি চালায় সন্ত্রাসীরা।
গুলির শব্দে এলাকায় চরম আতংক সৃষ্টি হয় স্থানীয়দের মাঝে। এসময় হুড়োহুড়ি করে যে যার যার মত দোকানপাট বন্ধ করে নিরাপদ আশ্রয়ের দিকে চলে যান।
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক এক দোকানদার জানান, দশটার দিকে দোকান বন্ধ করার কিছুক্ষণ আগে হঠাৎ এলাকায় গুলির শব্দ শুনি।
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক এক দোকানদার জানান, দশটার দিকে দোকান বন্ধ করার কিছুক্ষণ আগে হঠাৎ এলাকায় গুলির শব্দ শুনি।
এসময় চারিদিকে দৌড়াদৌড়ি শুরু হয়ে গেলে দোকানের শাটার নামিয়ে আমরা কয়েকজন দোকানের ভেতরেই নিরাপত্তার জন্য অবস্থান নেই। এসময় সন্ত্রাসীরা বাইরে পিস্তলসহ অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মহড়া দিচ্ছিল।
এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, শাহেদকে না পেয়ে গভীর রাত পর্যন্ত এলাকাতেই দফায় দফায় মহড়া দিতে থাকে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। তবে এ ঘটনার সময় শাহেদ আহমেদ এলাকার বাইরে ছিলেন।
ঘটনার প্রায় আড়াই ঘন্টা পর মধ্যরাত ১২ টা ২০ মিনিটের সময় নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) সাইদুজ্জামান খানপুর ৩শ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের সামনে অবস্থানকালীন সময় জনৈক মুরাদ ও তার সহযোগী কয়েকজনকে দেখা যায় পুলিশের সাথে কথা বলতে।
এ সময় ইন্সপেক্টর তদন্ত সাইদুজ্জানান নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট কে বলেন, এলাকার অনেকেই দুই চারটি পটকার আওয়াজ শুনেছে । ঘটনা আসলে কি তা খতিয়ে দেখতেছি ।
Discussion about this post