নারায়ণগঞ্জ জেলার সদর হাসপাতালে (ভিক্টোরিয়া) দীর্ঘ ১৭ বছর পর এবার মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া গেলে একটি নতুন অ্যাম্বুলেন্স । জেলার সকল সরকারী কার্যক্রম এই হাসপাতাল থেকে পরিচালিত হলেও রোগীদের স্বার্থ রক্ষায় কেউ এতোদিন কোন ভাবেই নজর দেন নাই । ফলে ‘১৭ বছর পর এই হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া গেলো মন্ত্রণালয়ের আদেশে । স্থানীয় সংসদ সদস্য চাহিদাপত্র দেয়ার পর ব্যাপক তদ্বিরের কারণে শেষ পর্যন্ত সদর হাসপাতাল, বিশেষায়িত হাসপাতাল (৩০০শ শয্যা) এবং বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে তিনটি অ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তর করার খবরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে নারায়ণগঞ্জের অভিজ্ঞমহল।
একই সাথে সরকারী হাসপাতল থেকে দালালদের চিরতরে বিতারিত করা, অধিকাংশ অসাধু চিকিৎসকদের নানা অনৈতিক বাণিজ্য বন্ধ করার আহবান জানিয়েছেন নগরবাসী । একই সাথে যুগের পর যুগ যাবৎ নির্দিষ্ট ঠিকাদারদের বিরামহীন লুটপাট/ দূর্ণীতি বন্ধ করতে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের আহবানও জানিয়েছেন অনেকেই
এনএনইউ ডেক্স :
নারায়ণগঞ্জ সদর ও বন্দর এলাকার সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সেবার নিশ্চিত ও মানোন্নয়নের জন্য ৩টি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে নতুন করে তিনটি অ্যাম্বুলেন্স যুক্ত হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের চাহিদা পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের পক্ষ থেকে উক্ত তিনটি অ্যাম্বুলেন্স বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার ১৫ জানুয়ারী দুপুর ১টায় ঢাকায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক উক্ত অ্যাম্বুলেন্স গুলোর চাবি হস্তান্তর করেন। এ সময় মন্ত্রী বরাদ্দ দেওয়া উক্ত অ্যাম্বুলেন্স গুলো ব্যবহার ও রক্ষনাবেক্ষনের জন্য স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে দায়িত্বশীল হওয়ার আহবান জানিয়েছেন।
অ্যাম্বুলেন্স বরাদ্দ পাওয়া স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে রয়েছে খানপুর ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল, নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল এবং বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ।
মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিজ নির্বাচনী এলাকার তিনি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানে তিনটি অ্যাম্বুলেন্স বরাদ্দ দেওয়ায় নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান লিখিত ভাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তাকে আন্তরিক অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান পক্ষে খানপুর ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের ত্বত্তাবধাকায় ডা: আবু জাহের এর নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের আরএমও ডা: আসাদুজ্জান এবং বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: আব্দুল কাদের উক্ত অ্যাম্বুলেন্স গুলোর চাবি গ্রহন করেন ।
নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতালের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, ৩০০ শয্যা হাসপাতাল বিশেষায়িত । এই হাসপাতালটি বিশেষভাবে সকলের নজরে আসে । এ ছাড়াও সংসদ সদস্য এই হাসপাতালের প্রতি অধিক মনোযোগী । সরকারী অ্যাম্বুলেন্স ছাড়াও সেলিম ওসমান নিজ উদ্যোগে আরো অ্যাম্বুলেন্স বরাদ্ধ দিয়েছেন । আর জেনারেল হাসপাতাল (ভিক্টোরিয়া) নিয়ে তেমন কোন মাথা ব্যাথা নেই কারো । ২০০৩ সালের পর আর কোন অ্যাম্বুলেন্স ছিরো না এই হাসপাতালে । ২০১৪ সালে সিংসদ সদস্য নাসিম ওসমান মৃত্যুর আগে রাষ্ট্রপতির জন্য বরাদ্ধ করা একটি অ্যাম্বুলেন্স প্রত্যাহার করে নতুন অ্যাম্বুলেন্স দেয়ার পর পুরাতন অ্যাম্বুলেন্সটি নারায়ণগঞ্জের জন্য নিয়ে আনেন দীর্ঘদিন পর । শহরের সরকারী দুটি হাসপাতালের কোটি কোটি টাকার বরাদ্ধ নানাভাবে লুটপাট করে যাচ্ছে অসাধৃু একটি চক্র । যাদের টিকিটিও স্পর্শ করতে পারে নাই কেউ । দুটি হাসপাতালের চিকিৎসকরা দালালদের মাধ্যমে কি পরিমাণ অপরাধ করে যাচ্ছে তা থামানো জরুরী হয়ে পরেছে বলে মন্তব্য করেছেন এই সূত্রটি । আর দুটি হাসপাতালের ঠিকাদার চক্র কি করছে বছরের পর বছর যাবৎ তা নিরপেক্ষতার সাথে যাচাই করার দাবী করেছে অনকেই ।
অপরদিকে দুটি হাসপাতালের প্রায় প্রত্যেক চিকিৎসক প্রতিদিন রোগীদের পরীক্ষা নিরিীক্ষার বাণিজ্য করে নিম্নে ২০ হাজার টাকা করে হাতিয়ে নিচ্ছে অসহায়দের সেবা দেয়ার নাম করে । যা সকলেই জানলেও অসাধু চিকিৎসকদের কেউ থামাতে পারছেন না । এই অপরাধী চক্রের দৌড়াত্ম থাসানোর দাবী উঠেছে নগরজুড়ে ।
Discussion about this post